স্পোর্টস ডেস্ক:
আজ (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় দিনে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। এখন লক্ষ্য প্রোটিয়াদের লিড বড় হতে না দেয়া, যত তাড়াতাড়ি পারা যায় তাদের গুটিয়ে দেয়া। কাজটা অবশ্য খুব কঠিন নয়, প্রথম দিনেই তো পড়েছে ১৬ উইকেট।
৬ উইকেট হারানো দক্ষিণ আফ্রিকারও বেরিয়ে এসেছে লেজ। স্বীকৃত ব্যাটাররা ফিরেছেন। প্রোটিয়ারা লড়াই করছে কাইল ভারান্নে ও মুল্ডারের ব্যাটে। দুজনে মিলে যোগ করেছেন ৩৫ রান। ভারান্নে ১৮ ও মুল্ডার ব্যাট করছেন ১৭ রানে।
দ্বিতীয় দিনে তাদের নিশ্চয়ই দ্রুত ফেরাতে চাইবে বাংলাদেশ। অবশ্য এছাড়া উপায় নেই। লিড হাতের মুঠোয় রাখতে দ্রুত আটকে দিতে হবে প্রোটিয়াদের। ইনিংস আর বড় করতে দেয়া যাবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হয়তো আটকে দেয়া খুব একটা কঠিন না হলেও কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে ব্যাট হাতে। দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ভেঙে বড় একটা সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। যেন লড়াইয়ের বড় পুঁজি আসে। বড় লক্ষ্য পায় সফরকারীরা।
প্রথম ইনিংসেই যেখানে ব্যাট করা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুরূহ, দ্বিতীয় ইনিংসে বিপরীত কিছু আশা করা হয়তো ঠিক হবে না। তবে মাটি কামড়ে যদি কিছু করা যায়, সেই চেষ্টাই করতে হবে টাইগারদের।
মিরপুরের রহস্যময় উইকেটে তা করে দেখাতে পারবেন কিনা শান্ত-লিটনরা, তা সময়ই বলে দেবে। তবে যে মাঠে খেলে এতদূর এসেছেন তারা।
মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনটা মোটেও ভালো যায়নি বাংলাদেশের। সোমবার টসে জিতে আগে ব্যাট করে টাইগাররা গুটিয়ে গেছে তিন অঙ্কে পৌঁছেই। বল হাতে যদিও খানিকটা তৃপ্তি মিটিয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
গতকাল (সোমবার) আলোকস্বল্পতায় ৬ ওভার বাকি থাকতেই সমাপ্ত ঘোষণা করা হয় প্রথম দিনের খেলা। এর আগেই ৩৪ রানে এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১৪০ রান।
এর আগে ঘরের মাঠে প্রায় ৯ বছর পর টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আতিথ্য দিতে গিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। প্রোটিয়া পেস তাণ্ডবে অসহায় হয়ে পড়ে মুশফিক-লিটনরা। মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা।
যা মিরপুর টেস্টে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। এদিন সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদুল হাসান জয়।
অবশ্য বল লড়াই করেছে স্বাগতিকেরা, তুলে নিয়েছে প্রোটিয়াদের ৬ উইকেট। যেখানে একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। ক্যারিয়ারের ১৩তম পাঁচ উইকেটের দেখা পেয়েছেন তিনি।
পুরো দিনে বাংলাদেশের প্রাপ্তিই এই তাইজুল। ৫ উইকেট নেয়ার পথে ছুঁয়েছেন দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে দুই শ’ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকও। মাত্র ৪৮ টেস্টে এই কীর্তি গড়েন তিনি। আজও তার বিধ্বংসী বোলিংয়েই ঘুরে দাঁড়ানোর আশা।
সময় জার্নাল/এলআর