সুখের অভিনয়!
পঁচিশ বছর কাটাই দিলাম
দেখা পাইলাম না সফলতার
হাসি মাইখা দুঃখ কাঁধে নিয়া চলি
বাপেরে হুনাইতে না পারলাম আশার বুলি।
এক বেহানে বাপে কইল
আমার কষ্টের টেহা দিমু কত আর?
এই বুড়া চামড়ায় আর কত নিব ক্ষত?
হুনামু কারে এত কষ্ট? নাইত কেউ আমার।
ঝংকারের ধাক্কায় বিয়ালের ট্রারাক ধইরা বেইন্নায় শহরে ঘুরি
খালি পকেটে খাওনের জ্বালায় মরি।
এর ধারে ঘুরি, ওরে বলি ভাই চাইড্ডা খাওন দিবেন?
লাত্তি-উষ্টার কিমাতে হইছে পেট ঠান্ডা।
আহ খাওনেরজে কি কষ্ট!
জীবনের এত বছরে শেষ কইরা
বাপেরে পারলাম না দিতে লুঙ্গি-গেঞ্জি
মায়ের হিন্দনেতে ছেড়া শাড়ি।
এই জীবন, দুঃখের সাঘরে কিজে করি!
হারা শহর চইষা বেড়ায়
চান্দের আলোতে দেহি খাওনের টেহা নাই।
বইনের জামা কিনু কি দিয়ে?
বাপের চোখের জল মুইচা দিমু কোন হাতে?
হঠাৎ একদিন মায়ের খবর আইল
বাজানরে উনিতো উড়াল দিসে
মাথায় আকাশ ভাইঙ্গা পড়ছে।
কোনও দিন কইতে পারিনাই
আইজকা কেমতে কই?
তোরে কত ভালো পাই।
লেখক: তাওসিফ মাইমুন, কবি ও সাংবাদিক।