নিজস্ব প্রতিনিধি:
উড়িষ্যার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যবর্তী স্থানে স্থলভাগ অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ এর সামনের অংশ। এই সময় ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
এদিকে, বাংলাদেশে সরাসরি আঘাত না হানলেও উপকূল অঞ্চলে এর প্রভাব পড়বে।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) আবহাওয়াবিদ মো: মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এটি গতকাল মধ্যরাতে (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আজ (২৫ অক্টোবর) সকালের মধ্যে ভারতের পুরী ও সাগর দ্বীপ এর মাঝখান দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রবল আকারেই তার ল্যান্ডফল হচ্ছে। কলকাতার আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১১টা ১২ মিনিটে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
সর্বোচ্চ গতি রয়েছে ১২০ কিলোমিটার। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এই ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলবে। প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে তিন থেকে চার ঘণ্টা লাগবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল, ‘দানা’র প্রভাবে কলকাতায় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। কিন্তু উড়িষ্যার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার প্রক্রিয়া শুরু হলেও কলকাতায় রাত পর্যন্ত তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। মাঝেমাঝে বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝিরঝিরে বৃষ্টি হচ্ছে শহরে। পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলে অবশ্য রাতেও ঝড়বৃষ্টি চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গের একাংশে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। এই ঝড়ের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। সে কথা মাথায় রেখে আগেভাগেই দিঘা, মন্দারমণির মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলো খালি করে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকশূন্য করা হয়েছে দিঘা। স্থানীয়দের উপকূল এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বর্ষণের লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ওই সতর্কতা রয়েছে শুক্রবার ঝাড়গ্রামে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টি চলবে শনিবারও।
সময় জার্নাল/এলআর