অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত বাজেটকে এসএমই বান্ধব হিসেবে উল্লেখ করেছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ)।
রোববার ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে 'বাজেট ২০২১-২২: এসএমই খাতের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি' শীর্ষক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিক্রিয়া জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, এ বছর বাজেট ব্যবসাবান্ধব তো হয়েছেই, সুনির্দিষ্টভাবে বললে এসএমই ব্যবসা বান্ধব হয়েছে। কারণ, নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট ট্যাক্সের কর হার ৩২ দশমিক ৫ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। বাংলাদেশের শিল্প উদ্যোক্তাদের শিল্প কাঁচামাল উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে আগাম কর চার থেকে তিন শতাংশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের স্বার্থ রক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে ফিনিস পণ্যে আমদানিতে শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়েছে। নারী উদ্যোক্তারা আয়করে আরও ছাড় পাচ্ছেন। নারী উদ্যোক্তাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বর্তমান ৫০ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে। এগুলোর সুবিধা এসএমই উদ্যোক্তারা পাবেন। আমরা এককথায় বলি, এ বছরের বাজেট এসএমই বান্ধব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাজেটে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে দেয়া ৬৩টি প্রস্তাবের ১৪টি গৃহীত হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, যে প্রস্তাবগুলো গৃহীত হয়নি সেগুলো আগামীকালের মধ্যে চূড়ান্ত করে পাঠাবো। আশা করি সেখান থেকেও কিছু গ্রহণ করা হবে।
এমএমই খাতে অনেক সেক্টর আছে, সেখান থেকে কোন কোন সেক্টর গুরুত্ব পেয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষুদ্র, মাঝারি উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব এবার বাজেটে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে যে সেক্টরগুলো এখন ভাল করছে। যেমন হালকা প্রকৌশল সেক্টর, কৃষি সেক্টর ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সেক্টর।
তিনি বলেন, আমাদের ডেইরিজাত শিল্প, নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নেয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আশা করি, আগামী বাজেটে অর্থমন্ত্রী অন্য খাতের দিকেও ক্রমান্বয়ে দৃষ্টি দেবেন।
এসএমই উদ্যেক্তাদের দাবিগুলো নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে জানিয়ে ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, আমরা মনে করি না এই বাজেটে এসএমইখাতের সবগুলোই অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। বড় বড় শিল্প খাত বাংলাদেশে বেশি ফোকাস পায়। রাজনৈতিক- অর্থনৈতিক দর্শন বলে একটা কথা আছে, সেক্ষেত্রে বৃহৎ শিল্প মালিকরা নীতি নির্ধারকদের কাছে তাদের দাবি জোরালো হিসেবে তু্লে ধরতে পারেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা তাদের বক্তব্য সেভাবে তুলে ধরতে পারছিলেন না। সেটাকে সামনে তুলে ধরার জন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের যে প্রয়োজন, তাদের যে আকাঙ্ক্ষা, যে সমস্যা- সেসব ক্রমাগতভাবে নীতি নির্ধারকদের কাছে তুলে ধরেছে। আস্তে আস্তে ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের যে চাহিদা সেটা নীতি নির্ধারকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে।
এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য ডিজিটাল ডিসপ্লে সেন্টারও এ মাসেই উদ্বোধন করা হবে বলে জানান ড. মো. মাসুদুর রহমান।
সময় জার্নাল/এসএ