আরমান হোসেন, হাবিপ্রবিঃ
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) দ্বিতীয় দিনের মতো চারটি অনুষদের ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) চারটি অনুষদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং অডিটোরিয়ামে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের শিক্ষার্থীদের বরণের মাধ্যমে নবীন বরণ অনুষ্ঠানটি শুরু হয়েছে। এরপর সকাল ১১ টায় অডিটোরিয়াম-১ এ ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ,দুপুর ২ টায় অডিটোরিয়াম-২ এ কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদ এবং বিকাল ৩ টায় অডিটোরিয়াম-১ এ বিজ্ঞান অনুষদের নবীন বরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত পৃথক পৃথক নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত উপচার্য প্রফেসর ড. মো. এনামুউল্যা।
উক্ত পৃথক পৃথক নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন স্ব-স্ব অনুষদের ডিনবৃন্দ।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. এমদাদুল হাসান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মো. শামসুজ্জোহা।
এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিপ্রবি উপাচার্য প্রফেসর ড.মো. এনামউল্যা বলেন, "প্রথমেই তোমাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। তোমরা এমন একটা প্রজন্ম যারা মেধার জন্য লড়াই করেছো।যেহেতু মেধার জন্য লড়াই করে তোমরা দেশকে নতুনভাবে স্বাধীন করেছো সুতরাং তোমাদেরকে মেধাভিত্তিক কাজের সাথে যুক্ত হতে হবে।মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করতে হবে,ভবিষ্যতে ভালো মানের গবেষণা করতে হবে।
তোমাদের যে সেন্টিমেন্ট রয়েছে এই সেন্টিমেন্ট থেকে দূরে আসা যাবে না।তোমাদেরকে আগামীর নেতৃত্ব দিতে হবে।আমাদের দেশকে কৃষি খাতে স্বয়ং সম্পূর্ণ করতে হবে।দেশের মাছ,মাংসের ঘাটতি মোকাবেলায় কাজ করতে হবে। দেশের মানুষের মাঝে সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে হবে। উদ্যেক্তা হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে।দেশে প্রযুক্তির উৎকর্ষতা সাধন করতে হবে।বিজ্ঞানসম্মত চিন্তা -ভাবনার মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তোমাদেরই নৈতিক দায়িত্ব। খেটে খাওয়া মানুষ এত কিছু বুঝবে না। তোমরা সার্বজনীনভাবে একে অপরের সাথে মিশবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে তোমরা নতুন, বন্ধুরা মিলে একতাবদ্ধ হয়ে চলার চেষ্টা করবে।তাহলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে।তোমরা সকলের সাথে মুক্ত মনে মিশবে।একে অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে। নিজেকে ইতিবাচক মানুষদের মতো তৈরি করার চেষ্টা করবে।
তানহা আজমী