মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচন ও রামগতি-কমলনগরে ৬টি ইউনিয়নের ইউপি নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়েছে।
সোমবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে। সকাল থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। পুরুষ ভোটারের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ, হাজির হাট ও চর ফলকন ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তার করে নৌকার সমর্থকরা প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে বলে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিযোগ। এছাড়া ইউপি সদস্যপ্রার্থীরাও একে অপরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন।
সকাল ৯টার দিকে কমলনগরের তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের চর পাগলা পাটওয়ারী পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গেলে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপ্রার্থী মাইক প্রতীকের স্বপ্না আক্তার অভিযোগ করেন, কেন্দ্রে থেকে তার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ফুটবল প্রতীকের লোকজন। এছাড়া ১১টার দিকে রামগতির চররমিজ ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী মাইক প্রতীকের সাইদা আক্তার কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেন।
সকাল সোয়া ১১টার দিকে তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামগঞ্জ রহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপারে বাইয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারেন নৌকার কর্মীরা। এর আগে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের মির্জা আশরাফুল আলম রাসেল ওই কেন্দ্রে এসে ভোটারদের ওপেন নৌকা প্রতীকে সিল মারা নির্দেশ দেন। এ সময় তিনি ভোট ‘ওপেন’ হওয়ার ঘোষণা দেন। কেন্দ্রের একটি মহিলা বুথের ভোটারদের শুধুমাত্র ইউপি সদস্য প্রার্থীদের ব্যালট সরবরাহ করা হতো। চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপারে সিল মেরে দিতেন নৌকার এজেন্টরা। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কেন্দ্রে প্রবেশ করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে তিনি বিভিন্ন বুথে প্রবেশ করে একটি ব্যালট বাইয়ে থাকা নৌকা প্রতীকে সিল মারা কয়েকটি ব্যালট পেপার জব্দ করে সেগুলো বাতিল করে দেন।
দুপুর ১টার দিকে মধ্যে চর পাগলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় বহিরাগতরা কেন্দ্র দখল করে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল দিচ্ছেন। ওই কেন্দ্রের মহিলা বুথের ২ নং কক্ষে চেয়ারম্যান পদের ব্যালট পেপার এবং নারী ও পুরুষ ইউপি সদস্য পদের ব্যালট পেপারের বাইয়ে সিল মারেন স্ব-স্ব প্রার্থীরা কর্মীরা। এ সময় কেন্দ্রে হট্রগোল করতেও দেখা যায়।
এছাড়া চরফলকন ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সাজ্জাদুর রহমান একাধিক কেন্দ্রে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলেন।
সময় জার্নাল/এমআই