নিজস্ব প্রতিনিধি:
আজ (শনিবার) সকাল থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে দেখা মেলেনি কোনো নেতাকর্মীর। তবে সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়া রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা।
পূর্বনির্ধারিত সমাবেশের কর্মসূচি বাতিল করেছে জাতীয় পার্টি। এর আগে রাজধানীর কাকরাইল ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশ।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (শনিবার) সকাল থেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় অফিসে দেখা মেলেনি কোনো নেতাকর্মীর। তবে সকাল থেকেই মোতায়েন করা হয়েছে বাড়তি পুলিশ। এছাড়া রয়েছে গণমাধ্যম কর্মীদের আনাগোনা।
ডিএমপি বলছে, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে ও জনগণের জান-মালের নিরাপত্তায় বেলা ১২টার দিকে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসে সেনাবাহিনীর দুটি টহল গাড়ি।
সরেজমিনে দেখা যায়, জাতীয় পার্টির অফিসের ঠিক সামনে দাঁড়ানো ও বসা অবস্থায় রয়েছেন ৩০-৩৫ জন পুলিশ সদস্য। অন্যদিকে গণমাধ্যমের কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য কাজ করছেন কার্যালয়ের সামনে।
আগুন দেওয়া ভবনটি খালি পড়ে আছে। উৎসুক জনতা ভবনটির সামনে দিয়ে যাচ্ছেন আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন, কেউ আবার ছবিও তুলে রাখছেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
এদিকে শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে রাজধানীর পাইওনিয়ার রোড ও কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
এর আগে শুক্রবার দুপুরে বনানীতে পূর্বনির্ধারিত শনিবার সমাবেশ করার ঘোষণা দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের।
সময় জার্নাল/এলআর