নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেশের পর্যটনে যুক্ত হলো আরো একটি স্থান। পর্যটনের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার দুর্গম জনপদে মিলেছে নতুন একটি ঝরনার খোঁজ। প্রায় ৫০ ফুট উচ্চতার ‘তৈলাফাং ঝরনা’ জায়গা করে নিতে যাচ্ছে রিছাং ঝরনা-তৈদুছড়া ঝরনার পর্যটন স্পটগুলোর পাশে।
মাটিরাঙ্গা উপজেলার তবলছড়ির কাতালমনি পাড়ায় নতুন আবিষ্কৃত এই ‘তৈলাফাং ঝরনা’ ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে হয়ে উঠতে পারে পর্যটনের অন্যতম আকর্ষণ। একাধিক পথ ধরে তৈলাফাং ঝরনায় যাওয়া যায়। খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও মাটিরাঙ্গা থেকে সড়কপথে পানছড়ি-তবলছড়ি সড়কের প্রিন্সিপাল বাগানের একটু সামনে কাতালমনি পাড়া-ভাইবোনছড়া সংযোগ সড়কে নামতে হবে। সেখান থেকে মেঠোপথ কাতালমনি পাড়ার দূরত্ব ৬-৭ কিলোমিটার। বৃষ্টি হলে যেতে হবে হেঁটেই।
তবে শুকনো মৌসুমে মোটরসাইকেলে ৪-৫ কিলোমিটার যাওয়া যাবে। সেখান থেকে ঝরনায় পৌঁছতে জয় করতে হবে উঁচু দুটি পাহাড়। উঁচু পাহাড় থেকে গাছ ও লতাপাতা মাড়িয়ে ভয়কে জয় করে নিচে নামলেই দেখা মিলবে তৈলাফাং ঝরনার। এর ঠিক বিপরীতে একটু ওপরের রাস্তা পেরিয়ে পাথুরে জঙ্গলের শেষে দেখা মিলবে ছোট-বড় আরও দুটি ঝিরি-ঝরনা। ঝিরির দুই পাশেই উঁচু পাথুরে পাহাড়। আছে বড় বড় পাথরখণ্ড। পাথরের দেয়াল বেয়ে নামছে স্রোতধারা।
সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মাহিন্দ্র, পিকআপ ও মোটরসাইকেলে সড়কযোগে মাটিরাঙ্গা ও পানছড়ি হয়ে যাওয়া যাবে তৈলাফাং ঝরনায়। পিচঢালা সড়ক থেকে হেঁটে ঝরনায় পৌঁছতে ঘণ্টা দুই সময় লাগতে পারে। সংযোগ সড়ক থেকে কাঁচা মেঠোপথ ধরে বৌদ্ধবিহার এলাকায় গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলে ঝরনায় নামার পথ দেখিয়ে দেবে। যাওয়ার পথে দূর পাহাড়ে লেবু, কচু, সেগুন বাগান ও জুমের দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হবেন। সবুজ পাহাড়, গভীর অরণ্য আর ঝরনাগুলো মুগ্ধ করবে যেকোনো পর্যটককে।
তৈলাফাং ঝরনাটি প্রত্যন্ত গ্রাম বলে সেখানে ভালো মানের দোকান নেই। তবে পথে কয়েকটি দোকান আছে, যেখানে চা-বিস্কুট মেলে। যাত্রাকালে খাবার ও সুপেয় পানিসহ যা যা লাগে সঙ্গে নিয়ে আসাই ভালো।
তানহা আজমী