আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের 'ডেল্টা' ধরনের বিপদ কাটতে না কাটতেই এবার 'ডেল্টা প্লাস' ধরন ভারতের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারতের তিনটি রাজ্যে ২২ জনের শরীরে 'ডেল্টা প্লাস' ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটিকে ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে বর্ণনা করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর রয়টার্স ও হিন্দুস্তান টাইমসের
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ কনসর্টিয়াম অন জিনোমিক্স জানিয়েছে যে ডেল্টা প্লাস আপাতত ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট (প্রজাতি)’ হিসেবে আছে। যে প্রজাতির করোনাভাইরাস আরও বেশি সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম। সেই প্রজাতির করোনার ফলে মনোকোনাল অ্যান্টিবডির (এক ধরনের অ্যান্টিবডি) প্রতিক্রিয়াও সম্ভবত কম হয়।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ কনসর্টিয়াম অন জিনোমিক্সের ২৮ টি গবেষণাগার আছে। সেখানে ৪৫,০০০-এর বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে ২২ টি নমুনায় ডেল্টা প্লাস প্রজাতির করোনার অস্তিত্ব মিলেছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ভারতে ডেল্টা প্লাস প্রজাতির করোনায় আক্রান্ত ২২ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৬ জনই মহারাষ্ট্রের। তবে মহারাষ্ট্রের সর্বত্র সেই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়েনি। রত্নাগিরি এবং জলগাঁও জেলায় ডেল্টা প্লাসে আক্রান্তদের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশ (ভোপাল এবং শিবপুরী জেলা) এবং কেরালার (পালাক্কড় এবং পাঠানামথিট্টা) একাংশে ছ'জন ডেল্টা প্লাস প্রজাতির করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তবে শুধু ভারত নয়, আমেরিকা, ব্রিটেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড, জাপান, পোল্যান্ড, নেপাল, চীন এবং রাশিয়ায় ডেল্টা প্লাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
ডেল্টার মতো যাতে ডেল্টা প্লাসের প্রভাবে সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ না করে, সেজন্য ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং কেরালাকে সতর্ক করেছে ভারত সরকার। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিন রাজ্যে সংক্রমণ রুখতে কড়া ব্যবস্থা নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেখানে ডেল্টা প্লাস প্রজাতিতে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে, সেখানে নমুনা পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ এবং টিকাকরণের উপর জোর দিতে বলেছে কেন্দ্র।
সময় জার্নাল/আরইউ