তাওহীদুল হক সিয়াম,বেরোবি প্রতিনিধি:
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের( বেরোবি) প্রতিষ্ঠাকালীন নাম পূর্ণ বহাল করে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম রাখার দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।আজ দুপুর আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পূর্ণ বহালের দাবীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর এবং শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় যে যথাযথ সম্মান প্রদর্শপূর্বক আপনার মাধ্যমে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেছি যে, বিগত সরকার আমলের ফ্যাসিস্ট নীতি ছিল গনবিরোধী ও জনতার মনোবাঞ্ছাকে উপেক্ষা করার নীতি।
সেই নীতির একটুও এদিক-সেদিক হয়নি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সময়ে। রংপুরের মানুষের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল ছিলো 'রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে (বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর) একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সেই অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে।তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নিজের নামফলক ও নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিকভাবে বিশ্ববিদ্যালের নাম পরিবর্তন করে মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার নামে নামকরণ করে। কিন্তু এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিচয়দানের অস্বস্তিতে ভোগা শুরু করি, কারণ একই শহরে ইতোমধ্যে আরেকটি প্রতিষ্ঠান (বেগম রোকেয়া সরকারি মহিলা কলেজ) যা আমাদের প্রতিষ্ঠানের সমমান (স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর) রয়েছে। যেটি ১৯৬৩ সালে বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত ও তার প্রতিকৃতিও রয়েছে সেখানে। এমতাবস্থায় আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারের (ফ্যাসিজমের দূরদর্শিতায়) রাজনৈতিক চতুরতার সাথে পরিবর্তিত নাম মহীয়সী রোকেয়ার নামে করেন যাতে নাম পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে নারী বিদ্বেষীসহ নানান ট্যাগ লাগিয়ে সহজে কন্ঠরোধ করা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স & ইঞ্জিনিয়ারিং( সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী রহমত আলী বলেন 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই " রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় " নাম পূর্নবহাল চান সেটা তারা গনসাক্ষরের মাধ্যেমে প্রমাণ করেছেন। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিক্ষাথীদের চাওয়া কে গুরুত্ব দিয়ে অতিদ্রুত পদক্ষেপ নিবেন। '
উল্লেখ্য বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন নাম রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় ছিলো তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয়।
তানহা আজমী