নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেছেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য চর্চার মাধ্যমেই মূলত শিক্ষার্থীদের সত্যিকার মেধার বিকাশ ঘটে। কচি-কাঁচা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশ করতে পারাই হলো মূল শিক্ষা। পূঁথিগত শিক্ষা মানুষকে বেশিদূর নিতে পারে না। সবকিছুর সমন্বয়েই মূলত মানুষ ‘মানুষ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়।”
শনিবার সকালে দারুননাজাত একাডেমির বার্ষিক প্রকাশনা ‘বার্ষিকী ২০২৪’-এর মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “উত্তরাধুনিক যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিল্প-সাহিত্যে দক্ষতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নিয়মিত বার্ষিকী প্রকাশ করে যাবে দারুননাজাত একাডেমি। শিল্প-সাহিত্য চর্চার মাধ্যমেই মূলত শিক্ষার্থীদের সুপ্ত মেধার বিকাশ ঘটবে। কচি-কাঁচা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা দেখে আমি অভিভূত। সত্যিই বিমোহিত। একসময় এরাই দেশের সাহিত্য-সংস্কৃতির নেতৃত্ব দিবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”
তিনি বলেন, “সন্তানকে সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়তে শিক্ষকের পাশাপাশি বাবা-মায়ের ভূমিকাও অগ্রগণ্য। শুধু শিক্ষক কখনো সন্তানকে মানুষ করতে পারবে না যদি না বাবা-মায়ের সহযোগিতা থাকে।”
দারুননাজাত একাডেমির পরিচালনা পর্ষদ, ভূঁইঘর দারুচ্ছুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “বার্ষিকীতে চমৎকার কিছু লেখা চোখে পড়লো। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের প্রতিভা তো অসাধারণ। আধুনিক লেখাপড়ার পাশাপাশি শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা করে গেলে দারুননাজাত একাডেমির শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বেশ দারুণ ভূমিকা পালন করবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকা থাকবে উল্লেখযোগ্য।"
দারুননাজাত একাডেমির সিইও নাজমুল ইসলাম বলেন, “দারুননাজাত একাডেমি এক নতুন বিপ্লবের নাম। এখানের শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার পাশাপাশি এক্সটা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসে বেশ পারদর্শী। এখানের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা কিছুদিন আগে বিজ্ঞানমেলা করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। ডিজিটাল আর্ট প্রদর্শনীও ছিল দারুননাজাত একাডেমি শিক্ষার্থীদের। আজকে এরাই বার্ষিকীর মোড়ক উন্মোচন করছে। ভবিষ্যতে দারনননাজাত একাডেমি ইসলাম ও দেশ-জাতির খেদমতে বড় ভূমিকা রাখবে।”
এমআই