শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

সোমবার, নভেম্বর ২৫, ২০২৪
এক যুগের মধ্যে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন

অর্থনীতি ডেস্ক:

গত চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে সর্বনিম্ন অর্থছাড় হয়েছে। এতে গত এক যুগের মধ্যে আলোচ্য সময়ে সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এডিপি থেকে সরকার বড় ধরনের কাটছাঁট করতে চায়। তারই প্রভাব পড়েছে এডিপি বাস্তবায়নে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

যদিও কাটছাঁটের প্রভাব পড়েনি বড় বরাদ্দ পাওয়া এলজিইডি ও সড়ক খাতে। তবে বরাবরের মতোই উন্নয়নে পিছিয়ে রয়েছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাত।

রোববার (২৪ নভেম্বর) চার মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে আইএমইডি। তাতে দেখা যায়, চার মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। গত এক যুগে এর চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নেই। সে আলোকে বলা যায়, গত এক যুগে এত কম এডিপি বাস্তবায়ন হয়নি।

গত চার মাসে ২১ হাজার ৯৭৮ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে, যা ২০১৭-১৮ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এই সময়ে। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছাড় হয়েছিল ৩২ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।

মাস হিসেবে শুধু গত অক্টোবরে অর্থছাড় হয়েছে ৮ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের অক্টোবর মাসে ছাড় হয়েছিল ১১ হাজার ৮২ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) থেকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা কাটছাঁট হতে পারে। এ কারণে বেশি প্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলোতে অর্থছাড় করা হচ্ছে। প্রকল্পের অগ্রাধিকার যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ধরা হয় ২ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন বর্তমানে শুরুর পর্যায়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দিয়ে এডিপি বড় ধরনের কাটছাঁট করলে তেমন কোনো অর্থের অপচয় হবে না। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় এক হাজার ৩২৬টি প্রকল্প আছে। এর মধ্যে অনেকগুলো ২০২৩ সালে অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যয় দেখা যায়নি।

বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, রাজনৈতিক বা প্রশ্নবিদ্ধ প্রকল্পগুলো পুনরায় বিবেচনা করা উচিত। কারণ সরকার আর্থিক সংকটে আছে, রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি রয়েছে। সরকারকে ব্যয় কমাতে হবে। ব্যয় কমানোর বড় জায়গা এডিপি।

প্রকল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় বরাদ্দ দিতে হবে। যেসব মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো সেগুলো শেষ করা ভালো হবে। তবে যেসব মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি বা প্রাথমিক ধাপে আছে সেগুলো বাদ দেওয়া ভালো হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে সবচেয়ে বেশি ৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এরপর সর্বোচ্চ খরচ করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ, ৩ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।

সড়ক মহাসড়ক বিভাগ এক হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় খরচ করছে এক হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। এক হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা খরচ করেছে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে এক টাকাও খরচ করতে পারেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগ।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল