সময় জার্নাল ডেস্ক:
হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধনের সময় প্রায় শেষ হয়ে এলেও এমন শতাধিক এজেন্সি থেকে একজনও নিবন্ধন করেননি বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (২৫ নভেম্বর) পর্যন্ত ২২ হাজার ৫শ জনের মতো হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন, যা কোটার প্রায় ১৮ শতাংশ। এখনো ৮২ শতাংশ হজযাত্রী নিবন্ধন করেননি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তবে শেষ সময়ে নিবন্ধনের হার বেড়ে যায়। তাই পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
চলতি বছর হজে যেতে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় হজের প্রাথমিক নিবন্ধন। শুরুর পর দু-একজন করে নিবন্ধন করছিলেন। তখন এজেন্সিগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, হজের খরচ কত হচ্ছে সেটা না জানলে মানুষ নিবন্ধন করবে না, প্যাকেজ ঘোষণা হলে নিবন্ধনের হার বাড়বে।
আগামী বছর হজের খরচ একলাখ টাকা কমছে। কিন্তু প্যাকেজ ঘোষণার একমাস হলেও নিবন্ধনে সাড়া মেলেনি। আর পাঁচদিন বাকি থাকলেও কোটার মাত্র ১৮ শতাংশ পূরণ হয়েছে।
হজ এজেন্সির মালিক ও সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার হজের প্রাথমিক নিবন্ধনের টাকা বেশি হয়ে গেছে। হজের এখনো ছয় মাস বাকি, এত আগে অনেকেরই টাকা গোছানো নেই। কিন্তু গত বছর থেকে হজের প্রস্তুতির কার্যক্রম আগেই করতে হচ্ছে। তাই অনেকেই না বোঝার কারণে ঠিকমতো প্রস্তুতি নিতে পারছেন না।
কারও কারও হজে যাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও সামর্থ্যে কুলাচ্ছে না, তারা প্রাক-নিবন্ধন করেই থেমে গেছেন। কারও আবার টাকা জমা থাকলেও ব্যাংকগুলো রুগণ অবস্থায় চলে যাওয়ায় টাকা তুলতে পারছেন না।
এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিন লাখ টাকা জমা দিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক নিবন্ধনের জন্য কয়েক দফা তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের পর প্রাথমিক নিবন্ধনের কোনো সুযোগ থাকবে না বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এজেন্সিগুলোর সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) কমিটি বাতিল করে সেখানে প্রশাসক বসানো হয়েছে। এজেন্সি মালিকরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে গেছেন। তারাও আলাদা করে প্যাকেজ ঘোষণা করেছে।
সময় জার্নাল/এলআর