সাইফ ইব্রাহিম, ইবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে আদালতপাড়ায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস। খুনিদের বিচার ও ইসকনকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শাখা ছাত্রশিবির।
বিক্ষোভে সংগঠনটির সহস্রাধিক নেতাকর্মীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও জমিয়তে তলাবায়ে আরাবিয়ার নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। বিকেল ৩টায় ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি প্রধান ফটক হয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে পুনরায় প্রধান ফটকের সামনে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় সংগঠনটির সভাপতি আবু মুসা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি ঈসমাইল হোসেন রাহাত ও জমিয়তে তলাবায়ে আরাবিয়ার সেক্রেটারি সাজ্জাতুল্লাহ শেখ বক্তব্য রাখেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবির সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, পতনের পর যখন পতিত শেখ হাসিনা কোথাও আশ্রয় পাচ্ছিলো না, তখন ভারত তাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের ছাত্রজনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হওয়ার পর তারা থেমে যাবে। কিন্তু তারা তাদের নীলনকশা থেকে সরে আসেনি।
তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে ইসকন নামক সন্ত্রাসী সংগঠনকে ছাত্রজনতার বিপক্ষে লেলিয়ে দিয়েছে। যখন আমরা ঐক্য, সম্প্রীতি ও শান্তির কথা বলছি, তখন তারা আমার ভাইদের হত্যা করার নজির সৃষ্টি করেছে। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আমাদের জুলাই আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থেকে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে।
শাখা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবু মুসা বলেন, ইসকন কোন ধর্মীয় সংগঠন নয়, এটা ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ইসকনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। অবিলম্বে বাংলাদেশেও তাদেরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনকে আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই না। আমরা অতিদ্রুত আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচার দাবি করছি।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে উৎখাত করলেও তাদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে যায়নি। তারা ছাত্রলীগের মাধ্যমে যেভাবে দেশে গুম, খুন ও নির্যাতন করেছে বাংলাদেশের মানুষ কখনো তা ভুলে যাবে না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা কোথাও কেউ অংশ নিতে পারবে না।
সময় জার্নাল/এলআর