নিজস্ব প্রতিবেদক:
রোজা যত ঘনিয়ে আসছে, ভোজ্যতেলের বাজারে অসাধু চক্রের কারসাজি তত বাড়ছে। কোমর বেঁধে সক্রিয় হচ্ছে সেই পুরোনো সিন্ডিকেট।
দুই সপ্তাহ আগেই বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ-সংকট ছিল। এরপর সরকার ভোজ্যতেল আমদানিতে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কমালে সরবরাহ কিছুটা বাড়ে। তবে তিন-চার দিন ধরে বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ আবার কমেছে।
পরিস্থিতি এমন-রোজা শুরুর চার মাস আগেই কোম্পানিগুলো মিল পর্যায় থেকে তেলের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। ডিলারের কাছে সরবরাহ কমিয়েছে। এতে ডিলার থেকে খুচরা বাজারে সরবরাহ কমিয়ে বাড়ানো হচ্ছে দাম।
তবে বাড়তি দামেও চাহিদামতো তেল পাচ্ছেন না খুচরা বিক্রেতারা। এতে বাজার থেকে এক প্রকার উধাও হচ্ছে সয়াবিন তেল। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে খোলাবাজারে। রাজধানীর বেশকয়েকটি বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বাজারে দু-তিনটি কোম্পানি ছাড়া অন্য কোনো ব্র্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। আর যেসব ব্র্যান্ডের তেল পাওয়া যাচ্ছে, তা–ও চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত নয়। বিশেষ করে এক ও দুই লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই কম।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, আগের সপ্তাহের তুলনায় খুচরা পর্যায়ে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪-৫ টাকা ও পাম তেলের দাম ৩-৪ টাকা কমেছে। বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৭-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও এক মাস আগের তুলনায় খোলা পাম ও সয়াবিনের দাম এখনো বেশি।
তানহা আজমী