সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ মেরুদণ্ডের ওপর দাঁড়াক তা চায়নি ভারত : রিজভী

শুক্রবার, নভেম্বর ২৯, ২০২৪
বাংলাদেশ মেরুদণ্ডের ওপর দাঁড়াক তা চায়নি ভারত : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব মেরুদণ্ডের ওপর ভর করে দাঁড়াক তা কখনই চায়নি ভারত। সেজন্যই তারা শেখ হাসিনার পতনকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না।

তিনি বলেন, ভারত তাদের অশ্বমেধ যজ্ঞ করার কিছু মানুষকে এ দেশে পাঠিয়ে দিয়ে চক্রান্ত করছেন। তারা আটক হলে আক্ষেপ করছে, প্রতিবাদ করছে। চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সরাসরি ভারতের উলম্ব অভিযান।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। কথা-বার্তা নেই হঠাৎ করে একটি সংগঠন, যাদের বৈধতা আছে কি না আছে এ সম্পর্কেও বাংলাদেশের মানুষ অবহিত নয়। তাদের একজন নেতা যার বিতর্কিত আচার-আচরণের জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের ভিতরের কেউ কেউ এবং বাহির থেকে সেই বিতর্কিত নেতার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করছেন। এ প্রতিবাদ আসাটাই সারা দেশের মানুষকে একধরনের দুশ্চিন্তার মাঝে ফেলেছে এবং মানুষ বিস্মিত হয়ে বিষয়টি লক্ষ করছে। চিন্ময় নামে একটি ব্যক্তি যিনি একটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, অথচ সে সংগঠনের নেতারাই জানিয়েছেন তাকে আগেই অনৈতিক কাজের অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, ইতিহাসের এক নিষ্ঠুর-ঘাতক সরকারের পতনের পর থেকে এদের (ইসকন) অস্বাভাবিক তৎপরতা বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে। তাদের কি দাবি? দাবি সম্পর্কে যতটুকু জানতে পেরেছি সেটিও আমার কাছে বিস্ময়কর মনে হচ্ছে। তাদের দাবি নিয়ে দেশবাসীর কাছেও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। দেশে কি এমন ঘটনা ঘটেছে যে ৭টি বিভাগীয় শহরে কর্মসূচি দিয়েছে, একের পর এক ঘটনা ঘটাচ্ছে। সর্বোপরি চট্টগ্রামে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এগুলো কিসের ইঙ্গিত বহন করে? কি করতে চাচ্ছে তারা? আবার পাশের রাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর তার গ্রেপ্তার নিয়ে মুক্তি দাবি করেছে এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

রিজভী বলেন, এই জাতির সার্বভৌমত্ব, বিশেষ করে ৫২ থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত যে অর্জনগুলো সে অর্জনকে অবমাননা করা হচ্ছে। এটি কখনো এ দেশের জনগণ মেনে নিতে পারে না। তাদের আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের ভিতরে একটি ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ব্যানারে কি হচ্ছে? কারা করাচ্ছে?

তিনি বলেন, আমরা বারবার পাশের রাষ্ট্রের কিছু বিষয় নিয়ে যে সমালোচনা করতাম, তাদের অন্যায়ের যে প্রতিবাদ করতাম এটি যে ন্যায়সঙ্গত এ ঘটনার মাধ্যমে তা আবারও প্রমাণিত হলো।

বিএনপি সবসময় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরোধিতা করেছে। শুধু আমাদের দেশের পরিবেশবিদরাই নয় ভারতের পরিবেশেবিদরাও বলেছেন, কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কিন্তু শেখ হাসিনা যখন দেখল সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ক্ষতিগ্রস্ত হবে- তখনই এ প্রকল্পের অনুমতি দিয়ে দিল।

২০১৬ সাল থেকে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ শুরু করে ২০২২-এ তা উপযোগী হয়ে যায়। আমাদের যে আশংকা ছিল তা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নদীর মাছ মরে যাচ্ছে, গাছগাছালি বিনষ্ট হচ্ছে। শুধু পাশের রাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার জন্য, তাদের ব্যবসায়ীদের খুশী করার জন্য শেখ হাসিনা কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ, বাংলাদেশের পরিবেশ, বৃক্ষ, পানি, পাখি সংরক্ষণের উদ্দেশ্য হাসিনার ছিল না, বরং এগুলোকে ধ্বংস করে তার ব্যক্তিগত স্বার্থ, তাকে ক্ষমতায় রেখে দেবে এই গ্যারান্টি নিশ্চিত করার জন্যই সেদিন হাসিনা এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দিয়েছিলেন।

তানহা আজমী


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল