আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের ভয়াবহ বিমান হামলায় শনিবার (৩০ নভেম্বর) আরও অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে চালানো হামলাতেই ৪০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুরাও রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাল আল-জাতার এলাকায় হামলায় বিধ্বস্ত ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো অনেক মানুষ আটকা রয়েছেন। অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি উদ্ধারকর্মীর অভাবে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইসরায়েলি বাহিনী গত ৬ অক্টোবর থেকে জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া এবং বেইত হানুন এলাকাগুলো অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে নিয়মিত সিভিল ডিফেন্স টিমগুলোকেও কাজ করতে দিচ্ছে না দখলদাররা।
এদিন দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ১২ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছেন। একই হামলায় বিশ্ব সেন্ট্রাল কিচেন ও সেভ দ্য চিলড্রেন সংস্থার চার কর্মীও প্রাণ হারিয়েছেন।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৪ হাজার ৩৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৫ হাজার ১৪২ জন আহত হয়েছেন।
গাজার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে লেবাননেও নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ৩ হাজার ৯৬১ জন নিহত এবং ১৬ হাজার ৫২০ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য হামাসের একটি প্রতিনিধি দল কায়রোতে পৌঁছেছে। যদিও ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে গত মঙ্গলবার থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। তবে সেখানে একাধিকবার চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে মানবিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছেছে। আন্তর্জাতিক মহল যুদ্ধবিরতি এবং ত্রাণ সহায়তার আহ্বান জানালেও সংঘর্ষ বন্ধের কোনো স্থায়ী সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি।
সময় জার্নাল/এলআর