বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই বছরের অধিক সময় ধরে কোষাধ্যক্ষ শূন্য হাবিপ্রবি

রোববার, ডিসেম্বর ১, ২০২৪
দুই বছরের অধিক সময় ধরে কোষাধ্যক্ষ শূন্য হাবিপ্রবি

মুরাদ হোসেন, হাবিপ্রবি দিনাজপুর: 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) তে দুই বছরের অধিক সময় ধরে শূন্য কোষাধ্যক্ষের পদ।

সর্বশেষ কোষাধ্যক্ষ (ট্রেজারার) প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই ৪ বছরের জন্য নিয়োগ পান, যার মেয়াদ ২০২২ সালের ৩০ জুলাই শেষ হয়। এরপর থেকে দীর্ঘদিন পর্যন্ত শূন্য রয়েছে পদটি।

গুরুত্বপূর্ণ এ পদটির শূন্যতায় যেন দাপ্তরিক জটিলতার সৃষ্টি না হয় সেজন্য দ্রুত নিয়োগের একটি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কোষাধক্ষের নিয়মিত দায়িত্ব হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তদারক ও অর্থ সংক্রান্ত  নীতি  সম্পর্কে  পরামর্শ  দেবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করবেন, বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করবেন। এ ছাড়া  কোষাধ্যক্ষ  বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০১ এর ১৩(১) ধারায়  বলা হয়েছে, "চ্যান্সেলর, তত্কর্তৃক নির্ধারিত শর্তে, চার বৎসর মেয়াদের জন্য একজন কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করিবেন এবং তিনি একজন অবৈতনিক কর্মকর্তা হইবেন"৷

এছাড়া ১৩(২) ধারায় বলা হয়েছে, "ছুটি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে কোষাধ্যক্ষের পদ সাময়িকভাবে শূন্য হইলে রিজেন্ট বোর্ড অবিলম্বে চ্যান্সেলরকে তত্সম্পর্কে অবহিত করিবে এবং চ্যান্সেলর কোষাধ্যক্ষের কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য যে প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন মনে করিবেন সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন৷"

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এনামউল্ল্যা বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার নিয়োগ কিংবা নিয়োগের প্রক্রিয়ায় উপাচার্যের কোনো এখতিয়ার নেই। কবে নাগাদ কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, "এটা আমার জানা নেই। এটা সরকারের বিষয়। এখানে আমার বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কারো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।"

হাবিপ্রবি আইন-২০০১ এ কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে, "কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের সার্বিক তত্ত্বাবধান করিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে ভাইস-চ্যান্সেলর, সংশ্লিষ্ট কমিটি, ইনস্টিটিউট ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে পরামর্শ প্রদান করিবেন৷ কোষাধ্যক্ষ, রিজেন্ট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ সাপেক্ষে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করিবেন এবং তিনি বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করিবার জন্য উক্ত বোর্ডের নিকট দায়ী থাকিবেন৷

আইনে আরো বলা হয়েছে, যে খাতের জন্য অর্থ মঞ্জুর বা বরাদ্দ করা হইয়াছে সেই খাতেই যেন উহা ব্যয় হয় তাহা দেখার জন্য কোষাধ্যক্ষ, রিজেন্ট বোর্ডের ক্ষমতা সাপেক্ষে, দায়ী থাকিবেন৷ কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে অর্থ সংক্রান্ত সকল চুক্তিতে স্বাক্ষর করিবেন৷ কোষাধ্যক্ষ সংবিধি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান দ্বারা নির্ধারিত অন্যান্য ক্ষমতাও প্রয়োগ করিবেন৷

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল