মো: মিরাজুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
চার বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাবন্দী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট ডিসিপ্লিনের ’১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী নুর মোহাম্মাদ অনিক এবং পরিসংখ্যান ডিসিপ্লিনের ’১৭ ব্যাচের মো. মোজাহিদুল ইসলাম দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।
গত রবিবার (০১ ডিসেম্বর) খুলনার মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাড. বেগম আক্তার জাহান (রুকু)। মামলাটি পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের গত ২৩ সেপ্টেম্বর খানজাহান আলী থানা কৃষক লীগ কার্যালয় ও ৫ ডিসেম্বর আড়ংঘাটা থানার গাড়ি রাখার গ্যারেজে বোমা বিস্ফোরণের মামলায় ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। মামলাগুলোর মধ্যে তাদের দুজনকে সোনাডাঙ্গা থানার বিস্ফোরক আইনের মামলায় ২০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপর মামলায় তাদের দুজনের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। এ ছাড়া খুলনার খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানা এবং ময়মনসিংহ জেলায় তাদের বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে, যেগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে খানজাহান আলী ও আড়ংঘাটা থানার মামলা দুটিতে তারা জামিন পেয়েছেন। তবে এখনই মুক্তি মিলছে না তাদের। অন্যান্য মামলা থেকে জামিন পেলেই তারা কারামুক্ত হবেন বলে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন।
১০ নভেম্বর থেকে খাবার গ্রহনে বিরত থাকায় তাদের বিষয়টি জানতে পেরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমন্বয়কের সাথে আলোচনা করেন। পরবর্তীতে কারাবন্দী দুই শিক্ষার্থীদের জামিনের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল সেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মামলা পরিচালনার জন্য সিনিয়র আইনজীবী এ্যাড. বেগম আক্তার জাহান (রুকু) কে নিযুক্ত করা হয়।
এদিকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দুই মামলায় জামিন পাওয়ার পর কারাবন্দী দুই শিক্ষার্থী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তারা।
এমআই