জাকারিয়া শেখ,ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশিক হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি জাহিদুল ইসলাম সবুজকে রংপুর র্যাব-১৩ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জাহিদুল ইসলাম সবুজ কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি মোঃ জাফর আলীর কনিষ্ঠ পুত্র। গ্রেফতারকৃত সবুজের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা সহ আরও অনেক সন্ত্রাসী মামলায় জড়িত থাকার বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়,সাবেক এমপি পুত্র সবুজের দাপটে কুড়িগ্রামের কেউ কোনোকিছু করার সাহস পেতো না।এমপি পুত্র সবুজ বেশির ভাগ সময় মাদকাসক্ত অবস্থায় থাকতো।গত ১৫ বছরে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন কোটি কোটি টাকার সম্পদ। জমি দখল, চাঁদাবাজি, নিয়োগ ও টেন্ডার-বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ লুট, এবং আধিপত্য বিস্তারের মাধ্যমে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
উল্লেখযোগ্য যে, আশিক হত্যা মামলায় মোট ১০৪ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ তিন সাংবাদিক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া,শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ৫০০ থেকে ৬০০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। মামলার বাদী কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন।
নিহত আশিক কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের সাতভিটা গ্রামের কৃষক চাঁদ মিয়ার ছেলে। উলিপুরের পাঁচপীর ডিগ্রি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার দিন তিনি তাঁর ছোট ভাই আতিকুর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর আশিক মাথায় আঘাত পেয়ে আহত হন। তিনি প্রথমে বাসায় আসেন, পরে আঘাতের ব্যথায় বমি করলে ১৮ আগস্ট তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হলে সেখানে ১ সেপ্টেম্বর আশিক মারা যান।
কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আশিক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সবুজকে র্যাব-১৩ গ্রেফতার করে আমাদের কাছে হস্থান্তর করেছে।
তানহা আজমী