আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অনাস্থা ভোটে হেরে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের সরকারের পতন ঘটেছে। ৬০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে ফ্রান্সে প্রথম অনাস্থা ভোটে কোনো সরকারের পতন ঘটানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ারের সরকার জাতীয় পরিষদে আস্থা ভোট হেরেছেন। এর ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) ফ্রান্সের পার্লামেন্টের ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে মোট ৩৩১ জন সদস্য ৭৩ বছর বয়সী বার্নিয়ারের সরকারকে অপসারণের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
সংসদের স্পিকার ইয়ায়েল ব্রাউন-পিভেট জানিয়েছেন, বার্নিয়ারকে এখন রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রনের কাছে তার পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে এবং সংসদ অধিবেশন বন্ধ ঘোষণা করা হবে। বার্নিয়ার তার এবং তার সরকারের পদত্যাগপত্র শীঘ্রই রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, কট্টর-বামপন্থী ফ্রান্স আনবোড (এলএফআই) দলের সংসদীয় উপদলের প্রধান ম্যাথিল্ড প্যানোট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমরা এখন ম্যাক্রোঁকে পদত্যাগপত্র জমা দিতে বলেছি। দেশের গভীর রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য প্রাথমিক রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করার আহ্বান জানিয়েছি।’
বার্নিয়ারের সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। ভোট শেষ হওয়ার পরপরই এ তথ্য জানিয়েছেন এলিসি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ।
এর আগে, ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে বিশেষ ক্ষমতাবলে বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করে তোপের মুখে পড়েন। সংসদ সদস্যদের ভোট ছাড়াই বিল পাস করায় প্রধান বিরোধী দল ও বামপন্থিদলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব ঘোষণা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
বার্নিয়ারের সরকারের পতনকে কেন্দ্র করে দেশটিতে রাজনৈতিক গভীর সংকট তৈরি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা, জুলাইয়ের আগে নতুন সংসদ নির্বাচন করতে পারবে না ফ্রান্স।
সময় জার্নাল/এলআর