জাহিদুল ইসলাম,রাবি প্রতিনিধি:
যৌন হয়রানির অভিযোগে চাকুরী হতে বরখাস্তের প্রতিবাদ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. রাজু আহমেদ। বৃহস্পতিবার ( ৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পেছনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী দ্বারা বর্বরোচিত হামলা ও মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ তুলেন। এছাড়া তাঁকে চাকুরীতে পুনর্বহালের দাবি জানান তিনি।
মামলা বিষয়ে ডা. রাজু বলেন, গেল বছরের ৩১ অক্টোবর বোয়ালিয়া থানায় বাদী হয়ে আমার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আদালতের নির্দেশে আমি স্থায়ী জামিনে আছি। আমি শারিরীকভাবে কিছুটা সুস্থবোধ করায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর আদালতে নিজে বাদী হয়ে সাবিনা ইয়াসমিনসহ তিনজনকে আসামি করে কোর্টে একটি মামলা দায়ের করি।
বাহিরের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে টেনে আনার প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, সাবিনা ইয়াসমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং মামলাটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট ভুলভাবে উপস্থাপন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলার কারনে কোন কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই গত বছরের ৫ নভেম্বর আমাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। একপর্যায়ে সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে আমাকে চাকুরীচ্যুত করেন। চাকুরীচ্যুতির কারনে আমি মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করি। রিট মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট আমার চাকুরীচ্যুতির আদেশ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
এসময় ডা. রাজু তাঁর চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে বলেন, আমার নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অভিযোগ এনে আমার নামে মিথ্যা মামলা এবং আমাকে চাকরিহারা করার জন্য সাবিনা ইয়াসমিনের উপযুক্ত বিচারের জোর দাবী জানাচ্ছি। আমাকে চাকুরীতে পূর্নবহালের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট বিনীত প্রার্থনা জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে অভিযুক্ত অধ্যাপক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, 'নিজেকে রক্ষা করার জন্য তিনি এসব করে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে ২টি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে যারা ছিল তারা আমার কোন লোক ছিল না। তার অপরাধ প্রমাণ হওয়ার কারণে তাকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। তিনি যদি এসব দাবি ভিত্তিহীন দাবি করেন তাহলে প্রমান দিক।'
হাইকোর্টের পিটিশনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ - উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি এখনো অবগত না। তবে সে যদি আবেদন করে থাকে তাহলে লিগ্যাল সেল সেটার ব্যবস্থা নিবে। আর বরখাস্তকৃত ডা. রাজুকে চাকুরিতে পুনর্বহাল করা কঠিন। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত।
তানহা আজমী