নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে কট্টর হিন্দুবাদীদের উস্কে দিয়ে উপমহাদেশে আধিপত্য কায়েম করতে চাচ্ছে ভারত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে আপনারা ভারতে যেমন বিভাজন তৈরি করেছেন, ঠিক তেমনি ভারতের স্বাধীনতার পর থেকে গণতন্ত্রের যে একটি ঐতিহ্য ছিল এটাকেও ভূলন্তিত করছেন আর সেই সাম্প্রদায়িকতার ধোয়া তুলে কট্টর হিন্দুবাদীদের উস্কে দিয়ে আপনারা চাচ্ছেন উপমহাদেশে আপনাদের আধিপত্য কায়েম করতে।"
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রাজধানীর গুলশানে ভারতীয় পণ্য বর্জনের দাবিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, "আমরা একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ জাতি। আপনারা মনে করছেন আপনারা পেঁয়াজ, রসুন, সয়াবিন তেল বন্ধ করে দিলে আমরা আর একগুলো রান্নায় ব্যবহার করতে পারবো না। আপনারা দুঃস্বপ্ন দেখছেন। আপনারা গরু রপ্তানি পাঁচ ছয় বছর ধরে বন্ধ করে দিয়েছেন, এখন বাংলাদেশের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গরুর খামার,ছাগলের খামার রয়েছে। বাংলাদেশে এক কোরবানি ঈদেই এক কোটি ২০ লক্ষ গবাদি পশু জবাই হয়।"
তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ ওই কলকাতায় গিয়ে ডলার খরচ করে সেখানে কেনাকাটা করে চিকিৎসা করতে যায় হাসপাতালে। হাসপাতাল আর চলবে না। আপনারা বন্ধ করে দিয়ে মনে করেছেন বাংলাদেশের মানুষ অস্থির হয়ে গেছে। আসলে বাংলাদেশের মানুষ আনন্দিত। প্রয়োজন হলে থাইল্যান্ড যাবে, মালয়েশিয়া যাবে, ইন্দোনেশিয়া যাবে কিংবা অন্য দেশে যাবে। এই জাতিকে আপনি ভয় দেখিয়ে আপনাদের নতজানু করবেন সেই জাতি বাংলাদেশ নয়।"
তিনি বলেন, "রিপাবলিক বাংলা বলেছে, চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ। তারা আরও বিভিন্ন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমরা বলছি একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশকে নিয়ে এমন দাবি জানালে আমরাও আমাদের নবাবের এলাকা বাংলা বিহার উড়িষ্যা এসব দাবি করবো। এটা এটা তো আমাদের ন্যায্য পাওনা। এই কথাগুলো আমরা বলতে চাই না। অনেক সংগ্রাম, আন্দোলন, ব্রিটিশ বিরোধী সংগ্রাম এই উপমহাদেশে আমরা একসাথে করেছি।"
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির, ছাত্রদল নেতা তৌহিদ আওয়াল, রাজু আহমেদ প্রমুখ।
এমআই