মোঃ এমদাদ উল্যাহ,কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কাঁকড়ি নদীর বালু উত্তোলনে বাধা দেয়ায় ওমান প্রবাসী হাবিবুর রহমানের উপর সন্ত্রাসী হামলাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মিয়াবাজার ফিউচার সোসাইটি এবং এলাকাবাসী। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়াবাজারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
হামলার শিকার হওয়া প্রবাসী হাবিবুর রহমান উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ঘাসিগ্রাম পূর্বপাড়ার মৃত জহির আহমেদ ভান্ডারীর ছেলে। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মিয়াবাজার ফিউচার সোসাইটির সভাপতি ও কাশিনগর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমান মঞ্জু, সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সালাউদ্দিন, সেক্রেটারী আবু বকর সিদ্দিক নোমান, কোষাধ্যক্ষ ফারুক আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ(ব্যাংক) মোঃ রহমত উল্লাহ,আরিফুর রহমানসহ প্রবাসীদের পক্ষে বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সচেতন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি অবৈধভাবে কাঁকড়ি নদীর বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে প্রবাসী হাবিবুর রহমানের সাথে এলাকার কতিপয় বালু ব্যবসায়ীর সাথে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ও অবৈধভাবে সরকারি খালের বালু উত্তোলন বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসী হাবিবুর রহমান চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর দরখাস্ত দিলে উপজেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি ট্রাক্টর জব্দ করে। পরে ট্রাক্টরের মালিকসহ দুইজনকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে সাজা প্রদান করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাকিয়া সারওয়ার লিমা।
এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বালু ব্যবসায়ীরা বহিরাগত লোকজন সহ গত ২৮ নভেম্বর রাতে মিয়াবাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে প্রবাসী হাবিবুর রহমানের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে কাঁটা-ছেড়া রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে মূমুর্ষূ অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের সদস্যরা।বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধিন রয়েছেন।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার চৌদ্দগ্রাম থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগির স্ত্রী মীনা আক্তার। পুলিশ প্রশাসন ঘটনাটির তদন্ত করছে বলে জানা গেছে। ন্যাক্কারজনক এ হামলার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
তানহা আজমী