শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বিজেপির অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক: মার্কিন দূতাবাস

রোববার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
বিজেপির অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক: মার্কিন দূতাবাস

সময় জার্নাল ডেস্ক:

ভারতকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর অস্থিতিশীল করতে চায় বলে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি যে অভিযোগ করেছে, সেটাকে দুর্ভাগ্যজনক হিসেবে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

উল্লেখ্য, এক দিন আগেই দীর্ঘ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ভারতকে অস্থিতিশীল করতে চায়। 

এহেন গুরুতর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার জবাব এলো ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের তরফ থেকে। বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এই বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস বলল, 'ভারতের শাসকদল এই ধরনের অভিযোগ করায় তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।' 

মার্কিন দূতাবাসের বক্তব্য, 'সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ এবং পেশাদারিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে মার্কিন সরকার স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে কাজ করে থাকে। তবে এই প্রোগ্রাম কোনোভাবেই ওই সব সংগঠনের সম্পাদকীয় নীতিকে প্রভাবিত করে না।'

মার্কিন দূতাবাস আরো বলে, 'বহু বছর ধরেই বিশ্বের সর্বত্র স্বাধীন সাংবাদিকতার পক্ষে কথা বলে এসেছে আমেরিকা। বিশ্বের যেকোনো গণতন্ত্রের জন্য স্বতন্ত্র সংবাদমাধ্যম অত্যন্ত জরুরি। এর মাধ্যমেই ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহি চাওয়া হয়। মানুষকে শিক্ষিত করে তোলে এবং তর্ক ও বিচারে তা সাহায্য করে।'

উল্লেখ্য, শুক্রবার বিজেপির তরফ থেকে নজিরবিহনীভাবে আক্রমণ শানানো হয় মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরকে। অভিযোগ করা হয়, আমেরিকার পররাষ্ট্র দফতর ভারতকে 'অস্থিতিশীল করার' চেষ্টায় আছে। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একের পর এক পোস্ট করেছে বিজেপি।

সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বিজেপি লিখেছে, 'যখনই কোনো রিসার্চ রিপোর্ট সামনে এসেছে বা বিদেশী কোনো সংস্থার তরফ থেকে কোনো সূচক প্রকাশিত হয়েছে, কংগ্রেস সেই সব ইস্যুকেই হাতিয়ার করে বিজেপি বা কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে। এটার জেরে প্রশ্ন তো উঠবেই। মনে হচ্ছে, কংগ্রেস যেন পশ্চিমি বিশ্বে সঙ্গী লুকিয়ে রেখেছে। সেখান থেকেই একটি বয়ান তৈরি করে ভারতকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। এখন সময় এসেছে এই এজেন্ডাকে প্রকাশ করা।'

এরপর পোস্টে বিজেপি লেখে, '২০২৩ সালের ৩১ অগস্ট, জি২০ শীর্ষ সম্মেলের মাত্র ১০ দিন আগে রাহুল গান্ধী একটি প্রেস কনফারেন্স করেন আদানি ইস্যুতে। সেখানে তিনি সরাসরি মোদিকে আক্রমণ শানান। রাহুল গান্ধী উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল। তার আসল লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারতের শেয়ারবাজার।

তাতে আদানি নিছকই একটি হাতিয়ার ছিল। বিগত চার বছরে কংগ্রেস ধারবাহিকভাবে মোদি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে আদানি ইস্যুতে। এই সব হমলার জেরে সংসদ অচল হয়েছে। করদাতাদের কোটি কোটি টাকা এতে নষ্ট হয়েছে।' 

বিজেপি আরো বলেছে, 'আরো যে ইস্যুতে কংগ্রেস সংসদ অচল করেছে, সেটা হলো পেগাসাস। ওই সময় রাহুল গান্ধী কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শানিয়েছেন।'

বিজেপির দাবি, 'আদানি এবং পেগাসাস ইস্যুতে একটি সূত্র হলো ওসিসিআরপি। এটি ইউরোপভিত্তিক একটি সংবাদসংস্থা। এর থেকেই বোঝা যায়, ভারতের বিরুদ্ধে প্রচারের ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং ওসিসিআরপি-এর মধ্যে যোগ আছে।

এরপরই গোটা কংগ্রেস আদানি ইস্যুতে নড়েচড়ে বসে এবং ওসিসিআরপি-এর সেই সব প্রতিবেদনকে হাতিয়ার করে আদানি, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং ভারতকে আক্রমণ শানিয়েছে। 

ওসিসিআরপি ক্রমাগত কংগ্রেসকে নানা ইস্য়ুতে সমর্থন করে গিয়েছে। তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তাতেই স্পষ্ট। ওসিসিআরপি বারবার হাতিয়ার তুলে দিয়েছে কংগ্রেসের হাতে, এবং সেটা ব্যবহার করে তারা বিজেপি এবং ভারতকে আক্রমণ করেছে।'

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৫ সময় জার্নাল