মোঃ এমদাদ উল্যাহ:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে হারুন রশিদ নামে যুবলীগ নেতার নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়লেন ফারহানা ইয়াসমিন নামের এক গৃহবধু। তার সাথে অঝোরে কেঁদেছেন তাদেরই সন্তান সেগুফতা ইসলাম তুলি(১৫) ও আশরাফুল ইসলাম তোহা(১০)। অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর এলাকার মৃত শাহজাহান মজুমদারের ছেলে।
রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে গৃহবধু ফারহানা ইয়াসমিন লিখিত বক্তব্যে বলেন, মনে করেছিলেন ৫ আগষ্টের পর এদেশে আওয়ামী সকল দুঃশাসনের অবসান হয়েছে। কিন্তু দেখা গেলো তার উল্টো চিত্র। স্থানীয় যুবলীগ নেতা হারুন রশিদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ ভুমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। ক্ষমতায় থাকাকালিন তারা একাধিকবার তার পরিবারের উপর হামলা চালিয়ে নির্যাতন করেছিলেন। এর প্রতিকার তারা কোথাও পায়নি। পুর্বের জের হিসেবে গত ২ ডিসেম্বর যুবলীগ নেতা হারুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী
ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তাদের বাড়িঘর ভাংচুর করে।
এ সময় গৃহবধু উল্লেখ করে বলেন, যুবলীগ নেতা হারুন রশিদ ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা আমার পরণের কাপড় নিয়ে টানাহেছড়া নির্যাতনের চেষ্টা করে। বারবার অস্ত্র দিয়ে আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। তারা আমার কোমলমতি দুই সন্তান সেগুফতা ইসলাম তুলি ও আশরাফুল ইসলাম, বড় ঝা রৌশনারা বেগমকে ঘরের ভেতরে রেখে তালা মেরে দেয়। তাৎক্ষণিক আমরা জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এ কল করলে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘর থেকে বের হতে সাহায্য করে।
লিখিত বক্তব্যে গৃহবধু আরও উল্লেখ করেন, এতেও যুবলীগ নেতা হারুন রশিদ ক্ষ্যান্ত না হয়ে আমার দুই সন্তানকে স্কুলে যেতে ও বার্ষিক পরীক্ষায় যেতে বাধা প্রদান এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাহায্যে সন্তানরা বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। গৃহবধু কান্নাজড়িত কণ্ঠে আরও বলেন, আমরা তার অত্যাচারে গত ২ ডিসেম্বর থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করেছি। আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট অভিযোগ দেওয়াতে এতে আরও বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে এই যুবলীগ নেতা। তার বাহিনীর ভয়ে পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আক্তার উজ জামান বলেন, গৃহবধুর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত ৪ বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা গৃহবধুকে থানায় আসতে বললেও তিনি এখন আর থানায় আসছেন না।
এমআই