বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। রাজধানীসহ দেশের সব অঞ্চলেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় অঞ্চলে শীতের তীব্রতা অন্য জায়গার তুলনায় কিছুটা বেশি।
এ অবস্থায় শীত বেশি অনুভূত হলেও আগামী ১০ দিন শৈত্যপ্রবাহের কোনো সম্ভাবনা দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। কিন্তু এই কয়দিন দেশের অন্যান্য অঞ্চলের স্বাভাবিক ঠান্ডা অনুভূত হলেও উত্তরাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নামতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা গণমাধ্যমকে এসব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করবে এবং জানুয়ারিতে ঠান্ডা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হবে। তবে আগামী ১০ দিন শীতের প্রকোপ বেশি থাকার আভাস পাওয়া গেলেও শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা দেখা যায়নি। আবহাওয়া প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। শৈত্যপ্রবাহ আসতেও পারে তবে সেটি উত্তরবঙ্গেই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এই আবহাওয়াবিদ আরও বলেন, এ সপ্তাহে শৈত্যপ্রবাহ না হলেও শৈত্যপ্রবাহের মতো তাপমাত্রা অনুভূত হতে পারে। তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের খুব কাছাকাছি দেখা গেছে।
তিনি বলেন, শৈত্যপ্রবাহ বলতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়া এবং একটানা কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করা বুঝায়। যদি তাপমাত্রা ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায় তখন তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৬-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বিবেচনা করা হয়।
এদিকে, চলতি ডিসেম্বর মাসেই দুটি লঘুচাপ, একটি ঘূর্ণিঝড় এবং দ্বিতীয়ার্ধে শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
তানহা আজমী