বুধবার, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪
মো: মিরাজুল ইসলাম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
গত ৫ই আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতন হলে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়েও অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, প্রভোস্ট, প্রকল্প পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকসহ প্রায় ৭০ জন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এসব সমস্যা কাটিয়ে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতির পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছে টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯টি ডিসিপ্লিনের ২য়,৩য়, ৪র্থ, ও মাস্টার্সের টার্ম পরীক্ষা শুরু হয়। এ পরীক্ষা আগামী ০২ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
জানা যায়, বিরূপ পরিস্থিতির মধ্যেও গত ১০ সেপ্টেম্বর সকল স্কুলের ডিনবৃন্দের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় একাডেমিক ক্যালেন্ডার পুনঃনির্ধারণ করা হয়। সেই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেই টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান জানান, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন গণঅভ্যুত্থান পরিস্থিতি সামলে ওঠায় ব্যস্ত, তখন থেকেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। নতুন উপাচার্য নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেন। তাঁর দিকনির্দেশনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমণ্ডলী এবং শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় প্রথম থেকেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সে আলোকে নতুন প্রণয়নকৃত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করেই ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য একই একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ক্লাস-পরীক্ষা গ্রহণ। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে যখন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাস শুরু করতে পারেনি, তখন আমাদের দায়িত্বশীল শিক্ষকমণ্ডলী ও সচেতন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় সবকিছু স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরো বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও শিক্ষার্থীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ- বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, সীরাত কনফারেন্স এবং হলগুলোতে নানা ধরনের প্রীতিভোজ, কাওয়ালী, বাউল সন্ধ্যার মতো আয়োজনে মুখরিত ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।’
এমআই