মো: মিরাজুল ইসলাম, খুবি প্রতিনিধি:
প্লাস্টিক দূষণ বর্তমানে পৃথিবীতে অন্যতম পরিবেশগত সংকট। এর কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাণিজগতের বিপন্নতাসহ মানুষের উপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) এর শিক্ষার্থীদের আয়োজনে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা নিশ্চিত করা এ প্রদর্শণীর উদ্দেশ্য।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কবি জীবনানন্দ দাস একাডেমিক ভবনের নিচতলায় প্রদর্শণীটি অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, প্রদর্শণীতে সেশনাল কোর্সের অধীনে ১ম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের তৈরিকৃত একক পোস্টার উপস্থাপন করা হয়।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনের শিক্ষক মো: মেহেদি হাসান জানান, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চিন্তা থেকে পরিবেশগত সচেতনতার জন্য কিছু করতে হবে।সেজন্য আমরা বেচে নিয়েছিলাম প্লাস্টিক দুষণ। এ কারণে ১ম বর্সে ৩৮ জন শিক্ষার্থী একক ভাবে এই বিষয়ের উপর পোস্টার তৈরি করেছে।আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো কিভাবে প্লাস্টিক দূষণ কমানো যায়। শিক্ষার্থীদের থেকেই সচেতনতা সৃষ্টির যায়গা থেকে এই আয়েজন।
তিনি আরো জানান, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে আর বাজারে পলিথিন ব্যবহার করবে না। শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তাদের পরিবারসহ আশেপোশের মানুষদের সচেতন করা। ক্যাম্পাসের মধ্যে যেসকল মানুষের চলাচল রয়েছে এখানে থেকেই মানুষের সচেতন করা এবং তাদের মাধ্যমে ধীরেধীরে এটি বাহিরের মানুষকে সচেতন করাই শিক্ষার্থীদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো।
মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ডিসিপ্লিনের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, ‘আমরা সকলেই জানি প্লাস্টিক পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর। বিভিন্নভাবে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হলেও পুরোপুরিভাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার নিরসন সম্ভব হয়নি । বর্তমানের তরুণ প্রজন্ম তাদের একাগ্রতার মাধ্যমেই পারে পুরো দেশ এবং পৃথিবী বদলাতে।
তারা আরো জানান, আমাদের এই কাজটির মাধ্যমে এক ঝাঁক তরুণ পরিবেশ সম্পর্কে গবেষণা এবং আরও বিস্তারিত জানতে পেরেছে যা তাদেরকে অনুপ্রানিত করবে পরিবেশ সচতেনতায় কাজ করার জন্য। আমরা বিশ্বাস করি সকলে নিজের অবস্থান থেকে সচেতন হলেই আমরা প্রত্যেকটি সমস্যার সমাধান করতে পারব। সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং বিষয়টি ছিল আমাদের জন্য যে নিজের সৃজনশীলতার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, ইন্টারনেটের আশীর্বাদে আমরা মানুষের সচেতন করার জন্য হাজারটি উপায় পেতে পারি কিন্তু একটি ভিন্ন উপায়ে মানুষের মনে পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা ভিন্ন উপায় কিভাবে জাগ্রত করা যায় সেটি আবিষ্কার করাই ছিল আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রদর্শণী শেষে শিক্ষার্থীরা পোস্টারগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া, অদম্য বাংলা, ৫ টি হল সহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন যায়গায় টাঙিয়ে রাখেন।
সময় জার্নাল/এলআর