নিজস্ব প্রতিনিধি:
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম কমার তালিকায়। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন ১১ হাজার কোটি টাকার ওপরে কমে গেছে। সেই সঙ্গে কমেছে সবকটি মূল্য সূচক ও লেনদেনের গতি।
শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে। তবে বাজারে বিনিয়োগ ঝুঁকি কমছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিমত, অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। ভালো মৌলভিত্তির অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখনও অবমূল্যায়িত অবস্থায় রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে তথ্য পর্যালোচনা করে বিনিয়োগ করতে পারলে লোকসানের সম্ভাবনা কম এবং মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৭৬টির স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৯৩টির। আর ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অর্থাৎ দাম বাড়ার তুলনায় দাম কমার তালিকায় তিনগুণের বেশি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
এতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৫২ হাজার ৪৯৬ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ১১ হাজার ২০৮ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন কমে ৬৫২ কোটি টাকা বা দশমিক ১০ শতাংশ।
দাম কমার তালিকায় বেশি প্রতিষ্ঠান থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ৯১ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহে সূচকটি বাড়ে ৪ দশমিক ২৩ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ৪ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১০ শতাংশ।
প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি গত সপ্তাহে কমেছে বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক। গত সপ্তাহে সূচকটি কমেছে ৩০ দশমিক শূন্য ২ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের সপ্তাহের সূচকটি কমে ৪ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বা দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের সপ্তাহে কমে ২ দশমিক ৮২ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ।
সময় জার্নাল/এলআর