স্বাস্থ্য ডেস্ক:
সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য দুপুরের খাবারকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দুপুরের খাবার প্রাথমিকভাবে আপনার স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও রুচির উপর নির্ভর করে। দুপুরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। কার্বোহাইড্রেট কম থাকা ভালো, তবে একেবারেই বাদ দেবেন না।
দুপুরে খুব বেশি না খেয়ে পরিমিত মাছ, ভাত, সবজি বা মাংস খেতে হবে। অনেকেই সকালে না খেয়ে দুপুরে একবারে বেশি পরিমাণ খাবার খান, যা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
মস্তিষ্ক কর্মচঞ্চল এবং শরীরে কর্মোদ্যোম ধরে রাখতে দুপুরের খাবারে কার্বোহাইড্রেট অল্প করে হলেও রাখতে পারেন। কার্বোহাইড্রেট বাদ দিলে মাথা ঝিমঝিম আর শরীরে ম্যাজম্যাজে-ভাব আসতে পারে। এক্ষেত্রে এক চতুর্থাংশ শর্করা, এক চুতুর্থাংশ কার্বোহাইড্রেট এবং অর্ধেক শাকসবজি খেতে পারেন।
শরীরে সঠিক চর্বির জোগান দিতে বাদাম, বীজ জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আর লাঞ্চের অন্তত ২০ মিনিট পর পানি পান করা উচিত। পানি শরীর তাজা রাখে। তবে লাঞ্চের পর পর অনেকটা পানি পান করলে তার প্রভাব পড়ে হজমের উপর। ফলে পেটের নানা রকম সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে আলসারও হতে পারে।
শরীর সুস্থ রাখতে দুপুরে রাখতে পারেন এই ৪ খাবার-
১. সালাদ: এটি প্রোটিন, ফাইবার এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে। বিভিন্ন ধরনের বাদাম যেমন কাজু, আমন্ড এবং সূর্যমুখীর বীজ দিয়ে বানানো সালাদ বেশ উপকারী।
২. গ্রিলড মাছ বা চিকেন: দুপুরে গ্রিল করা মাংস বা মাছ খাওয়া ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা শরীরের জন্য উপকারী।
৩. সবজি দিয়ে বানানো ব্রাউন রাইস বা কুইনোয়া: এটি ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ সরবরাহ করে। ব্রাউন রাইস বা কুইনোয়ার সাথে বিভিন্ন সবজি মিশিয়ে নেয়া যায়।
৪. দই ও ফল: প্রোবায়োটিক এবং ভিটামিন যুক্ত দইয়ের সাথে তাজা ফল (যেমন আপেল, কলা, বেরি) মিশিয়ে খেলে হজমের জন্য
তানহা আজমী