মো. নিজাম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুরে এক বৃদ্ধা নারী তার ছেলের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর হামলাকারীদের হুমকির মুখে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্নভাবে বৃদ্ধা মহিলাকে অব্যাহত হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছেন। এমন অভিযোগ করেন দেলোয়ারা বেগম নামের ওই বৃদ্ধা। তিনি জেলার সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির মৃত আবদুস সহিদের স্ত্রী।
জানা গেছে, গত ২৩ মে বৃদ্ধা দেলোয়ারা বেগমের বাগান থেকে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ মোতাহেরগংদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধকে কেন্দ্র করে মোতাহের, ফারুক ও তার পরিবারের সদস্যরা দেলোয়ারাকে গালমন্দ করলে তার পুত্র মো. সোহাগ (৩৩) ও মো. আজাদ হোসেন সোহেল (২৭) প্রতিবাদ জানায়।
মোতাহের ও ফারুকের পক্ষ হয়ে স্থানীয় নুর আলম, বাহার, সাইফুল, কামরুল ও এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী নাঈমসহ ১০/১২ জন দেলোয়ারা ও তার পরিবারের অন্য সদস্যদের উপর আক্রমণ করেন। বাধা দিতে গিয়ে নুর আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আজাদ হোসেন সোহেলের মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে এ ঘটনায় দেলোয়ারা বেগম বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত আসামী নুর আলম ও ৭ নং আসামী মোতাহের হোসেনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। পরে আসামী মোতাহের জামিন নিয়ে বেরিয়ে এসে বাদি দেলোয়ারা বেগমকে হুমকি দেয় মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য।
দেলোয়ারা অভিযোগ করে বলেন, মামলার যে আসামী জামিনে বের হয়ে এসেছে, সে এবং অন্য আসামীরা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য। আমার ছেলেকে তারা হত্যার চেষ্টা করেছে। তার মাথায় কুপিয়ে জখম করে, এতে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার মাথায় ১০টি সেলাই দিতে হয়েছে। আমি এ ঘটনার বিচারের জন্য মামলা করেছি। কিন্তু প্রায় রাতে অভিযুক্তরা ও তাদের লোকজন আমার বসতঘর লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারে, আমাকে হুমকি দেয়। কিন্তু আমি আমার ছেলের উপর হামলার সঠিক বিচার ছাই।
দেলোয়ারা বেগমের ছেলে মো. সোহাগ বলেন, আমরা আমাদের বাগানের গাছ কাটার সময় বাধা দিলে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে অবগত করলে তিনি বিরোধ মীমাংসার আশ্বাস দেন। তাই আমরা গাছ কাটা বন্ধ রাখি। কিন্তু এরই মধ্যে মোতাহের এর ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ভাই আজাদের মাথা কুপিয়ে জখম করে নুর আলম। এছাড়া হামলাকারীরা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমার মাকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং আমাকেও মারধর করে।
তিনি অভিযোগ করেন, মোতাহের ও ফারুকগং পূর্বেও তাদেরকে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
দেলোয়ারার মেয়ে জামাতা জিয়াউর রহমান বলেন, হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হলে উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে কাউন্টার মামলা করেছে। যা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আমরা প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোতাহের এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান।
সময় জার্নাল/এমআই