শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি

শুক্রবার, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ১০.৭ ডিগ্রি

জেলা প্রতিনিধি:

টানা এক সপ্তাহ ধরে দেশের শেষ প্রান্তের জেলা পঞ্চগড়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। উত্তরের হিম শীতল বাতাসের কারণে ওঠানামা করছে তাপমাত্রার পারদ৷ এতে বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষরা।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯ টায় জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে উত্তরের হিমেল হাওয়া গতকালের চেয়ে আজকে কিছুটা কমেছে, বেড়েছে কিছুটা কুয়াশাও তবে কমেনি শীতের তীব্রতা। দিন ভর সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আবারো শুরু হয় শীতের তীব্রতা। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন গরীব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত এ জেলার নিম্ন আয়ের মানুষরা কাজে সন্ধানে বের হন, ঠিক এই সময়টাতে সবচেয়ে বেশি শীত, কুয়াশা ও হিমেল হাওয়া বয়ে যায়। ফলে কনকনে শীতে অনেকেই কাজে যেতে পারছেন না। আর অনেকে কাজে যেতে পারলেও বেশিক্ষণ কাজ করতে পারছেন না। 

আবহাওয়া অফিস বলছে, এ জেলা থেকে হিমালয় পর্বত অনেক কাছাকাছি হওয়ার কারণে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে শীত মৌসুমে। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করে। ফলে কনকনে শীত অনুভূত হয়৷

এ বিষয়ে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার আজিজ নগর এলাকার চা শ্রমিক ইমন তরফদার বলেন, ভোরবেলায় আমরা চা শ্রমিকরা পাতা কাটার জন্য বাগানে যাই। সে সময় অনেক শীত ও কুয়াশা পড়ে। শীতের কারণে হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়। বেশিক্ষণ আমরা কাজ করতে পারি না। ফলে আমাদের আয় কমেছে।

বাংলাবান্ধা এলাকার পাথর শ্রমিক নকিবুল ইসলাম বলেন, কনকনে শীতে মহানন্দা নদীর ঠান্ডা পানিতে নেমে সকাল সকাল কাজে নামতে হয়। এতে অনেক কষ্ট হয়। কত শীতকাল আসল আর গেল কিন্তু আমাদের কেউ খোঁজ খবর নেয় না।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, উত্তরে হিমেল হওয়ার কারণে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে এ জেলায়। আজ সকাল ৯ টা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গেলে ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।

সময় জার্নাল/এলআর


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল