আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
অবশেষে শাটডাউন বা সরকারি অচলাবস্থা এড়াতে সফল হয়েছেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। কংগ্রেসের নিম্ন কক্ষের প্রতিনিধি পরিষদে সংশোধনী অর্থবিলটি পাস হয়েছে। তবে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঋণসীমা বৃদ্ধির দাবিকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
এখন এই বিলটি সিনেটের অনুমোদন পাওয়া লাগবে। ডেমোক্র্যাট-নিয়ন্ত্রিত সিনেট এটি পাস করলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সই করবেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউস। তারপরেই এটি আইনে পরিণত হবে।
বিলটি মার্চ ১৪ পর্যন্ত সরকার চালাতে তহবিল বরাদ্দ করবে। এতে দুর্যোগপ্রবণ রাজ্যগুলোর জন্য ১০০ বিলিয়ন ডলার এবং কৃষকদের জন্য ১০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তবে ঋণসীমা বাড়ানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অর্থবিলটি পাস না হলে শনিবার থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কিছু সংস্থার কার্যক্রম আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যেত।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্প-সমর্থিত রাষ্ট্রীয় অর্থবিল (সরকারি ব্যয় প্যাকেজ) যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে পাস করাতে ব্যর্থ হন রিপাবলিকানরা। পরবর্তী সংশোধনী বিল পাস করার চেষ্টা করলে তা-ও ব্যর্থ হয়। ১৭৪ আইনপ্রণেতা সমর্থন দিলেও বিরোধিতা করেন ২৩৫ জন।
তবে শাটডাউন এড়াতে আনা সর্বশেষ পাস হওয়া সংশোধিত বিলটিতে সমর্থন দিয়েছেন ৩৬৬ জন আইনপ্রণেতা। আর বিরোধিতা করেছেন ৩৪ জন। তবে এর আগে এর কিছু ধারা নিয়ে বিতর্ক ছিল। ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টা ইলন মাস্কের সমালোচনার পর কিছু বিতর্কিত অংশ বাদ দেওয়া হয়।
হাউস স্পিকার মাইক জনসন বলেছেন, পরবর্তী বছর রিপাবলিকানদের দুই কক্ষেই নিয়ন্ত্রণ থাকবে। ট্রাম্প তখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেবেন। তিনি বলেন, 'এই পদক্ষেপ আমাদের বাজেটে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দেবে।'
একটি ভ্রমণ ব্যবসায়িক গ্রুপ জানিয়েছে, সরকার বন্ধ হলে প্রতি সপ্তাহে এ খাতে ১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারত। পাশাপাশি বড়দিনের সময় ভ্রমণেও বড় সমস্যা হতো।
বিল থেকে কংগ্রেস সদস্যদের বেতন বৃদ্ধি ও চীনে বিনিয়োগ সীমিত করার মতো কিছু ধারা বাদ দেওয়া হয়। ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এই ধারা বাদ দিয়ে মাস্কের ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।
এমআই