আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজা উপত্যকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের সদর দফতরের বিপরীতে একটি ভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
এতে তিনজন চিকিৎসা কর্মীসহ প্রায় ৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এই বর্বর বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বোমা হামলার পর বেইট লাহিয়া প্রজেক্ট এলাকায় কামাল আদওয়ান হাসপাতালের বিপরীতে একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আমাদের তিনজন মেডিকেল স্টাফসহ প্রায় ৫০ জন শহীদ হয়েছেন।
আবু সাফিয়া বলেন, চিকিৎসা কর্মীরা তাদের পরিবার নিয়ে ওই ভবনে বসবাস করতেন। তিনি নিহত কর্মীদের শনাক্ত করেছেন। যাদের একজন আহমেদ সামুর, তিনি একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ। এছাড়া হামলায় নিহত ইসরা একজন ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান এবং ফারেস নামে এক ব্যক্তিও রয়েছেন যিনি হাসপাতালের রক্ষণাবেক্ষণ প্রযুক্তিবিদ।
ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসকে পুনরায় সংগঠিত হতে বাধা দিতে ইসরাইল ৫ অক্টোবর উত্তর গাজায় একটি বড় আকারের স্থল আক্রমণ শুরু করে। তবে ফিলিস্তিনিরা এলাকাটি দখল করতে এবং সেখানকার বাসিন্দাদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে।
বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানায়, ইসরায়েলের সেই স্থল অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানী সহ পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা এই অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতে এই অঞ্চলে অবশিষ্ট মানুষেরা দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে যাচ্ছেন।
গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে। বারবার হামলায় ছিটমহলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।
গত মাসে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ছিটমহল নিয়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যা মামলার মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সময় জার্নাল/এলআর