বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

৮ বছরেও স্থায়ী নাম মেলেনি নোবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধ ভাষ্কর্য্য'র

রোববার, জুন ২৭, ২০২১
৮ বছরেও স্থায়ী নাম মেলেনি নোবিপ্রবির মুক্তিযুদ্ধ ভাষ্কর্য্য'র

খাদিজা খানম, নোবিপ্রবি প্রতিনিধি: ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য প্রফেসর সাইদুল হক উদ্বোধন করেছিলেন নোবিপ্রবি মুক্তিযুদ্ধ ভাষ্কর্য। উদ্বোধনের সময় ভাস্কর্যটির সাময়িক নাম দেয়া হয়েছিল ‘স্বাধীনতা ভাস্কর্য’। প্রতিষ্ঠার ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও অস্থায়ী নামের ওপর এখনো দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি।

উদ্বোধনের সময় উপাচার্য নাম ঠিক করার তাগিদ দিলেও সেটি আর কাজে পরিণত হয়নি। এ নিয়ে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠলেও মেলেনি নতুন কোন স্থায়ী নাম।

দেশের প্রায় সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে স্থাপন করা হয় বিভিন্ন ভাস্কর্য। ঠিক যেমনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অপরাজের বাংলা’, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সংশপ্তক’ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিজয় একাত্তর’, কিংবা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘চেতনা ৭১’ প্রভৃতি উদ্দীপনা মূলক নামের ভাস্কর্য। কিন্তু নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানার এবং গবেষণার জন্য মুক্তিযুদ্ধ স্টাডিজ বিভাগ নামক একটি বিভাগ খোলা হলেও নামকরণ করা হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা ভাস্কর্যটির।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভাস্কর্যটি উদ্বোধনের ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই অস্থায়ী নামেই আছে ভাস্কর্যটি। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঘুরতে আসা আমাদের সহপাঠী বন্ধুরা যখন ভাস্কর্যটির নাম জিজ্ঞেস করে তখন আমরা নাম বলতে পারি না। এটা আমাদের জন্য লজ্জাজনক

জানা যায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে শিক্ষার্থীদের নিকট নাম আহবান করে কয়েকটি নাম সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু নাম সংগ্রহের দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও কোনো অগ্রগতি নেই নোবিপ্রবি প্রশাসনের।  

এবিষয়ে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক আফসানা মৌসুমি জানান, শিক্ষার্থীদের থেকে নাম সংগ্রহ করে এটির জন্য কমিটি করা হয়েছে। উক্ত কমিটির মাধ্যমে নাম সিলেক্ট করে উপাচার্যের কাছে প্রস্তাবনা চিঠি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে কেন নাম দেওয়া হয়নি এবিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক আগে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে করোনাকালীন ছুটিতে এবিষয়ে আর আলোচনা হয়নি। তবে আমি বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই কথা বলব।

সময় জার্নাল/এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল