বুধবার, জানুয়ারী ১, ২০২৫
সময় জার্নাল ডেস্ক:
অঞ্চল অনুযায়ী ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন বিশ্বে প্রথম শুরু হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দ্বীপরাষ্ট্র কিরিবাতি এবং টোঙ্গায়। এখানকার সময় অনুযায়ী, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টা (গ্রিনউইচ মান সময়) থেকে নতুন বছর শুরু হয়েছে।
এছাড়া বিশ্বে সবার আগে নতুন সালকে স্বাগত জানানো দেশের তালিকায় রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ার এবং সিডনি হারবার ব্রিজের আতশবাজি দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ তৈরি করে, যা স্থানীয় ও পর্যটকদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দ ছড়ায়।
ইউরোপে নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো আলোকসজ্জা আর আতশবাজি। লন্ডনের বিগ বেন ও থেমস নদীর তীরে জমকালো আতশবাজি হাজারো মানুষকে আকৃষ্ট করে। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের আলোকিত সৌন্দর্য এবং রোমের ঐতিহাসিক স্থানে উৎসবের আমেজ সবাইকে আনন্দে ভাসায়।
নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে বিখ্যাত বল ড্রপ ইভেন্ট বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়। হাজারো মানুষ একত্রিত হয়ে নতুন বছরের কাউন্টডাউন উদযাপন করে। পাশাপাশি, কনসার্ট, প্যারেড এবং পারিবারিক আয়োজনে দেশব্যাপী নববর্ষের উৎসব চলে।
এশিয়ার দেশগুলোতে নববর্ষ উদযাপন ভিন্নমাত্রা পায়। জাপানে মন্দিরে ঘণ্টাধ্বনি দিয়ে নতুন বছর শুরু হয় আর চীনে পরিবারসহ সময় কাটানোর রীতি প্রচলিত। ভারত ও বাংলাদেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং রঙিন উৎসব নতুন বছরকে উজ্জ্বল করে তোলে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নববর্ষ উদযাপনের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। দুবাইয়ের বুর্জ খলিফার চমৎকার আতশবাজি সারাবিশ্বের নজর কাড়ে। এছাড়া পরিবারকেন্দ্রিক অনুষ্ঠানও বাড়ছে।
নববর্ষ উদযাপনের পদ্ধতি ভিন্ন হলেও, এর মূল বার্তা সবার কাছে এক- নতুন আশা, একতা এবং ভালোবাসার উৎসব। পুরোনো বছরের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন বছরকে আরো সুন্দর ও স্মরণীয় করে তুলতে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিশ্বজুড়ে নববর্ষ উদযাপন একটি অভিন্ন স্বপ্ন ও নতুন দিনের প্রত্যাশার প্রতীক হয়ে ওঠে, যা পুরো পৃথিবীকে এক করে তোলে।
সময় জার্নাল/এলআর