সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের ২৫ ও ২৬তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে। এতে অংশগ্রহণ করেছে দেশের ২১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮ জন প্রশিক্ষণার্থী। প্রশিক্ষণটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং বাকৃবি গ্রাজুয়েট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট (জিটিআই)।
রবিবার (৫ জানুয়ারি ) সকাল ১০টায় জিটিআই প্রশিক্ষণ ক্লাস রুমে ওই প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ দিনব্যাপী ওই কর্মশালাটি আগামী ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে।
প্রশিক্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জন, বাকৃবির ৭জন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালসের একজন, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন, এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানে জিটিআই-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. বেনতুল মাওয়া সভাপত্ত্বিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন, এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির , বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দফতরের পরিচালক তৌফিকুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত অতিথি এবং প্রশিক্ষণার্থীরা।
এসময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হলেন এর প্রধান অঙ্গ, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী থেকে শুরু করে ডাইনিং কর্মী, সুইপার সবাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে ছোট করে দেখা বা অসম্মান করা যাবে না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব প্রয়োজনীয়তা ও অবদান আছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যই হলো মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সুন্দর আচরণ শেখানো। আমাদের আচরণ যেন কারো মনে কষ্ট না দেয়, এটাই হওয়া উচিত প্রধান লক্ষ্য। অফিসারদের হতে হবে স্মার্ট, দক্ষ এবং প্রফেশনাল। জাতীয় বা আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার করা অনুচিত। মনে রাখবেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নতুন কিছু শেখা সম্ভব। তবে এটাও মনে রাখতে হবে, যিনি আপনার থেকে একদিনের বড়, তার অভিজ্ঞতা একদিনের বেশি। তাই বড়দের সবসময় সম্মান করতে হবে।
এমআই