জাহিদুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা পূনরায় বহাল না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে রাবি কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী, পরিবহন কর্মচারী সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকল্পের ডেপুটি রেজিস্টার মনোয়ার হোসেন বলেন, 'কোটা আন্দোলন ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কারের আন্দোলন। তখন বলা হয়নি কোটা বন্ধ করতে হবে, বলা হয়েছিল কোটা সংস্কার করতে হবে। সারাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ ইত্যাদি জায়গায় কোটা ব্যবস্থা রয়েছে। তাই আমরা আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা বাতিলের প্রতিবাদ জানাই ও তা পূনরায় বহালের দাবি জানাই।'
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির কোষাধক্ষ্য মাসুদ রানা বলেন, 'আমাদের যে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা সেটি অনেকদিন থেকেই চলে আসছে। আমাদের সন্তানরা যোগ্যতার ভিত্তিতে এখানে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করার যে যোগ্যতা তারা সেটি পূরণ করে। পাশাপাশি অন্য সকল যোগ্যতা পূরণ করার পরেই তারা এখানে ভর্তি হয়। তাই আমরা আমাদের অধিকার পুনর্বহাল চাই।'
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, 'আমাদের একটাই দাবি সেটি হচ্ছে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার। আমরা যতদিন আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাবো ততদিন আন্দোলন চালিয়ে যাবো।' একইসাথে আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।
এ সময় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতির দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা- কর্মচারী এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তার সন্তানদের জন্য বরাদ্দকৃত পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করে শুধুমাত্র সহায়ক ও সাধারণ কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন । কিন্তু এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা ঝুলিয়ে উপ-উপাচার্যসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রায় ১২ ঘন্টা অবরোধ করে রাখে তারা। পরে সেদিন রাতে আন্দোলনের মুখে পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিল ঘোষণা করেন উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব।'
এমআই