সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী, বাকৃবি প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্নের মাধ্যমে এই পুনর্মিলনীর সূচনা করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সেমিনার কক্ষে সকাল ১১ টায় একটি সেমিনার আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে বাকৃবিসাসের বর্তমান সদস্য এবং প্রাক্তন সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরিচিতি পর্বের পরেই বাকৃবিসাসের অতীতের দিনগুলো নিয়ে দুটো কলাজ ভিডিও প্রদর্শন করানো হয়। পাশাপাশি স্মৃতিচারণ পর্বে সমিতির প্রাক্তন সদস্যরা সকলেই তাদের বাকৃবিসাস নিয়ে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করে।
সেমিনার ছাড়াও পুনর্মিলনী উপলক্ষে বিকালে বিভিন্ন খেলাধুলা ও ব্রহ্মপুত্র নদে নৌভ্রমণ, সন্ধ্যায় বারবিকিউ পার্টি ও ব্যাডমিন্টন টুর্ণামেন্ট এবং রাতে পুরষ্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
বাকৃবিসাসের সাধারণ সম্পাদক তানিউল করিম জীম বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল বর্তমান ও সাবেক সদস্যদের মিলনমেলা ছিল সত্যিই হৃদয়গ্রাহী। অতীতের অভিজ্ঞতা আর বর্তমানের উদ্যম মিলে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।
সাংবাদিকতার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিজেদের ভূমিকা স্মরণ এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়ার জন্য এমন অনুষ্ঠানগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পুনর্মিলনী শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং সকলের অংশগ্রহণ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি প্রমাণ করে, বাকৃবি সাংবাদিক সমিতি শুধু একটি সংগঠন নয়, বরং একটি পরিবারের মতো।
বাকৃবিসাসের অ্যালামনাই ও সাবেক সভাপতি শাহীদুজ্জামান সাগর বলেন, পুনর্মিলনীতে এমন অ্যালামনাইদের পেলাম, যারা আমার জন্মের আগেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ও সাংবাদিকতা করেছেন। তাদের সাথে সাক্ষাৎ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় এক অন্যরকম অনুভূতি। আমাদের সময় ইমেইলের সুযোগ থাকলেও তারা হাতে লিখে পত্রিকা অফিসে সংবাদ পাঠাতেন; তাদের এসব অভিজ্ঞতা আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছে। পুনর্মিলনীতে বিভিন্ন জেনারেশানের সংমিশ্রণ আমাকে দারুণভাবে আপ্লূত করেছে। পুরোনো স্মৃতিগুলো আজ আবারও মস্তিষ্ক-খেলে গেল। আগামী সময়ে আরও বড় পরিসরে এধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
এমআই