স্পোর্টস ডেস্ক:
লাল-সবুজ জার্সিতে আর দেখা যাবে না তামিম ইকবালকে। । ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে ওয়ানডে ম্যাচটা খেলেছিলেন তিনি। সেটাই হয়ে থাকল তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
সিলেটে গত পরশু নিবার্চক কমিটির সাথে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে দু’ দফা আলোচনার করেন তামিম ইকবাল। তবে সেই সময় আসেনি কোনো সিদ্ধান্ত, প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু জানিয়েছিলেন, সময় চেয়েছেন তামিম। তবে খুব বেশি সময় নেননি তামিম ইকবাল।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে দীর্ঘ এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তামিম ইকবাল নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন। ভক্ত-সমর্থক ও সতীর্থদের চাওয়াকে উপেক্ষা করে ‘না’ বলে দেন।
তামিম তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।’
অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় একটি আসর সামনে, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।
এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি।
যদিও অনেকেই বলেছেন, অনেক সময় মিডিয়ায় এসেছে, আমিই নাকি ব্যাপারটি ঝুলিয়ে রেখেছি। কিন্তু বিসিবি-এর কোনো ধরনের চুক্তিতে যে নেই, এক বছরের বেশি সময় আগে যে নিজ থেকে সরে দাঁড়িয়েছে, তাকে পরিকল্পনায় রাখা বা তাকে নিয়ে আলোচনারও তো কিছু নেই।
২০২৩ বিশ্বকাপের আগে যা হয়েছে, আমার জন্য তা বড় ধাক্কা ছিল, যেহেতু ক্রিকেটীয় কারণে আমি দলের বাইরে যাইনি। তারপরও আমি যেখানেই গিয়েছি, ক্রিকেট ভক্তদের অনেকে বলেছেন, আমাকে আবার জাতীয় দলে দেখতে চান।
তাদের ভালোবাসার কথা ভেবেছি আমি। আমার ঘরেও একজন অনুরাগী আছে। আমার ছেলে কখনো আমাকে সরাসরি বলেনি, কিন্তু তার মাকে বারবার বলেছে, বাবাকে আবার দেশের জার্সিতে খেলতে দেখতে চায়।
ভক্তদের হতাশ করার জন্য আমি দুঃখিত। ছেলেকে বলছি, ‘তুমি যেদিন বড় হবে, সেদিন বাবাকে বুঝতে পারবে।’
এরপর নানা কারণবশত: ভারত বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম বাদ পড়লে আর কখনো জাতীয় দলে ফেরা হয়নি তার। বিদায় নেয়ার আগে প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে ২৪৩ ওয়ানডে, ৭০ টেস্ট ও ৭৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেন তামিম।
যেখানে ওয়ানডেতে ৮৭৫৩, টেস্টে ৫১৩৪ ও টি-টোয়েন্টিতে করেন ১৭৫৮ রান।
সময় জার্নাল/এলআল