বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

মগবাজারে বিস্ফোরণ ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদ

রোববার, জুন ২৭, ২০২১
মগবাজারে বিস্ফোরণ ইস্যুতে উত্তপ্ত সংসদ

সময় জার্নাল রিপোর্ট : জাতীয় সংসদে রাজধানীর মগবাজার ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি উঠেছে। একই সাথে মর্মান্তিক ওই ঘটনায় যারা মারা গেছেন দায়ীদের পক্ষ থেকে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এর দায় সরকারকেই নিতে হবে বলেও বিএনপির একজন সংসদ সদস্য দাবি করেছেন।

সোমবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে এমন দাবি জানানো হয়।

এর আগে একই দিন সকাল ১১টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বৈঠক শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনার শুরুতেই জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, মগবাজারের দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গেছেন। অনেকে হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকা শহরে যে সমস্ত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট আছে এগুলোতে যে গ্যাস স্টোভ ইউজ হয় সেই গ্যাসের স্টোভ বা সিলিন্ডারগুলো কখনো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরিদর্শনের মাধ্যমে ইন্সপেকশন করা হয় কিনা এ প্রশ্নটা সামনে আসছে। কারণ আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়িতে যে সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে সেগুলো ব্লাস্ট হওয়ার কারণে অনেক অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমি জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, এই যে ঘটনাটা গতরাতে ঘটল এটা আসলেই যদি গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে কি কারণে? এখানে গ্যাসের যে এত বড় একটা স্টোর ছিল এটা কি কোনো সময় ইন্সপেকশন করা হয়েছিল? এমনকি সারাদেশে যে সমস্ত জায়গায় গ্যাসের সিলিন্ডার স্টোর করা হয় প্রয়োজনীয় ইন্সপেকশন হয় কিনা? এগুলো যেন ইন্সস্পেকশন করা হয়। কারণ কাল রাতে যে দুর্ঘটনা ঘটলো এর কারণটা, এর প্রতিকার এবং এত মানুষ মারা গেল এতে কি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে? যেসব হোটেল রেস্টুরেন্টের কারণে এ ঘটনা ঘটছে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হবে কিনা? এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি।

এরপর বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুন উর রশিদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি এসব ঘটনা ঘটছে। গত বছর নারায়ণগঞ্জের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় প্রায় ৪০ জন মানুষ মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গতকালকে রাজধানীর মগবাজারের মতো ব্যস্ততম এলাকায় যে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এখানে (সংসদে) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নাই।

তিনি বলেন, যত্রতত্র যেখানে-সেখানে এভাবে রেস্টুরেন্ট উঠছে সেগুলোর সেফটি আছে কিনা? আমরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে দেখি সেখানে লেখা থাকে-সেফটি ফার্স্ট। কিন্তু বাংলাদেশের কী অবস্থা? আজকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে লোক মারা যাচ্ছে। এই কাজগুলোতো বিদ্যুৎ বিভাগের। তাদেরতো জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে।

রাজধানীর মতো একটি জায়গায় যদি এরকম একটি ঘটনা ঘটে...। সেখানে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী ভয়াবহ। কী একটা অবস্থা। সেখানে অনেকগুলো বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এটার দায় কে নেবে? এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন- আমি বিষয়টি অনুরোধ করব বিদ্যুৎ বিভাগকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিতে হবে। যারা বাসা বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে প্রতিনিয়ত মানুষ মরবে। এখানে মাননীয় সংসদ নেতা আছেন তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সময় জার্নাল/আরইউ


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল