শাহিনুর ইসলাম প্রান্ত, লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর বসুনিয়াটারী এলাকার জুলেখা বেগম (৩০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করেছে পুলিশ। বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় তাকে হত্যা করে প্রেমিক বিধান চন্দ্র বর্মন। লাশ একদিন ঘরে রেখে পরে পাট ক্ষেতে ফেলে দেয় প্রেমিক বিধান ও তার সহযোগী সুকুমার চন্দ্র বর্মন।
এ ঘটনায় বিধান চন্দ্র বর্মন ও সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ২৪ জুন রতিপুর বসুনিয়াটারী এলাকায় পাট ক্ষেত থেকে জুলেখা বেগমের লাশ উদ্ধার করেন সদর থানা পুলিশ।
জুলেখা বেগম ওই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের মেয়ে বলে জানা গেছে। সোমবার বিকালে লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হলে পাশ্ববর্তী জেলা কুড়িগ্রামে জুলেখা বেগমের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। জুলেখা বেগম বিয়ের পর জানতে পারে তার ২য় স্বামীর তিনি ৬ষ্ঠ স্ত্রী। পরে জুলেখা বেগম মায়ের বাড়িতে থাকা শুরু করেন।
এ সময় পাশ্ববর্তী রতিপুর মন্ডলপাড়া এলাকার দীনেশ চন্দ্র বর্মনের ছেলে বিধান চন্দ্র বর্মনের (২৬) সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিধানের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় গত ২১ জুন রাতে জুলেখা বেগম বিধান চন্দ্র বর্মনের বাড়ি আসে এবং রাত্রী যাপন করেন। পরদিন ২২ জুনও জুলেখা বেগম বিধান চন্দ্র বর্মনের বাড়ি গিয়ে রাত্রী যাপন করেন এবং ভোরবেলা বিধানকে ঘুম থেকে ডেকে বিয়ের চাপ দেয়।
বিধান চন্দ্র বিয়ে করতে রাজি না হলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পযার্য়ে বিধান চন্দ্র জুলেখা বেগমকে হত্যা করে লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখেন।
২৩ জুন রাতে বিধান তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্র বর্মণকে বাড়িতে ডেকে এনে তার সহযোগিতায় জুলেখা বেগমের লাশ পাশ্ববর্তী পাট ক্ষেতে লুকিয়ে রাখে। ২৪ জুন স্থানীয় লোকজন ক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে জুলেখা বেগমের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর থেকে আমরা নানাভাবে তদন্ত শুরু করি। সন্দেহজনকভাবে আমরা জুলেখার প্রেমিক বিধান চন্দ্র ও তার কর্মচারী সুকুমার চন্দ্রকে গ্রেপ্তার করি। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে সক্ষম হয়েছি।
সময় জার্নাল/এমআই