রহমান খান শাকিল : আমরা ইয়াং জেনারেশনের কম বেশি সবাই মোটামুটি ডিপ্রেশনের সাথে পরিচিত।জিনিসটা খুব ভয়াবহ।এই জিনিসটা যদি আপনার মধ্যে থাকে তাহলে আপনি আপনার কাজে ফোকাস করতে পারবেন না।রাতে ঘুমাতে পারবেন না।আপনার কিছুই ভালো লাগবে না।যদি নাতাশা মালকোভাও আপনার সামনে এসে দাড়িয়ে থাকে তাহলেও আপনার মনে বিন্দুমাত্র প্রতিক্রিয়া হবে না।এটার জন্য অবশ্য সিরিয়াস লেভেলের ডিপ্রেশনে থাকা প্রয়োজন।
যাই হোক আমরা এই ডিপ্রেশন থেকে বাচার জন্য সাময়িক প্রশান্তি খুজি।আর সেটাই হচ্ছে মোটিভেশন।একজন চেইন স্মোকার যেমন সিগারেট এ সাময়িক প্রশান্তি খুজে পায়,একজন ড্রাগ এডিক্টেড যেমন ড্রাগ এ প্রশান্তি খুজে পায় ঠিক তেমনভাবে ডিপ্রেশন এ থাকা মানুষ মোটিভেশন এ প্রশান্তি খুজে পায়।
অনেকের মনে তাহলে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে---মোটিভেশন কি তাহলে বিড়ি,সিগারেট,ড্রাগ এর মতো নেশা??
না সেরকম টা না।মোটিভেশন আসলে মাস্টারবেশনের মতো নেশা।বুঝলেন না তো?আচ্ছা বুঝিয়ে দিচ্ছি---
যখন কেউ মাস্টারবেশন করবে বলবে মনস্হির করে তার আগে সে কি ভাবে??সে ভাবে এইটা করে সে মানসিক প্রশান্তি পাবে।
মোটিভেশন নেয়ার আগে কিন্তু আমরা সেই জিনিসটার দিকেই ফোকাস দেই!!মানসিক প্রশান্তি।সিমিলারিটি খুজে পাওয়া গেলো??চলুন আরেকটু বিস্তারিত আলোচনা করি।
মাস্টারবেশন করার সময় আমাদের ভিতরে অন্যরকম একটা ফিল আসে।আরেকটু ওপেন মাইন্ডে বললে-তখন আসলে আমাদের প্বার্থিব জগতের কোনো কিছুতেই খেয়াল থাকে না।শরীর গরম হয়ে যায়।আমরা শুধুমাত্র সেটাতেই ফোকাস করি।আমরা আমাদের ব্রেইন কে ইউটালাইজ করতে পারি না।
মোটিভেশনাল ভিডিও দেখার সময় আপনার রক্ত টগবগ করতে থাকে।পুরো দুনিয়া জয় করার মতো একটা ইচ্ছেশক্তি আসে।আর সে সময়ে আপনি আপনার ব্রেইন কে ইউটিলাইজ করতে পারেন না।
আসলে এই ২ টাই ইলুয়েশন।অর্থ্যাৎ মোটিভেশন আর মাস্টারবেশন এই দুইটা জায়গাতেই আপনি আপনার কল্পনাতে নিজের মতো করে এক জগৎ তৈরী করেন যার বাস্তবিক জগতে কোনো অস্তিত্ব ই নেই।
মাস্টারবেশন এর পরে যেমন আপনার সেই কল্পনার জগতের কোনো অস্তিত্ব থাকে মোটিভেশন এর বেলায় ব্যাপারটা পুরো ই সেইম।
আই রিপিট!!সাময়িক প্রশান্তি।এই প্রশান্তির জন্যই আপনি স্মোক করেন,ড্রাগ নেন,মোটিভেশন নেন।আর এই প্রশান্তির জন্যই আপনি আপনার টাকা বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুলোতে দিচ্ছেন।আপনি আপনার কষ্টে উপার্জিত টাকা তথাকথিত মোটিভেশনাল স্পিকার দের দিচ্ছেন।
খুজে পেলেন তো সিমিলারিটি??
এখন আসি মুদ্দা কথায়---এক সময় আমিও রক্ত গরম করা মোটিভেশন দিতাম বিভিন্ন গ্রুপ গুলোতে।পাবলিক ওগুলাই খেতো।আমি জানি আমার এত বড় লেখাটা পড়ার ধৈর্য সবার নেই।তাই পাবলিক এটাকে খাবে না।তবে লাইক, কমেন্ট শেয়ার থেকে আমার কাছে বেশি ইম্পরট্যান্ট হচ্ছে সত্যি টা উপস্থাপন করা।রক্ত গরম করা ভাষন দিয়ে লাইক,কমেন্ট পেতে ইন্টারমিডিয়েট লাইফেই ভালো লাগে।একটা সময় পর ওগুলো আর তেমন কোনো ইম্প্যাক্ট ফেলে না।তখন তিক্ত সত্যগুলোকেই উপস্হাপন করতে ভালো লাগে।
হতাশা /ডিপ্রেশন থেকে বাচতে যা যা করবেন---
১.নিজের দূর্বল পয়েন্ট গুলোকে ফাইন্ড আউট করুন এবং সেগুলোকে স্ট্রং করার জন্য কাজ করুন।
২.নিজেকে ব্যাস্ত রাখতে হবে।নতুন নতুন জিনিস শিখতে হবে।নতুন মানুষের সখ্যতা করতে হবে।প্রচুর বই পড়তে হবে।
৩.অতীত মনে আনার দরকার নাই।ফিউচার নিয়ে ভাবার ও দরকার নাই।বর্তমানে ফোকাস করুন।
৪.গোল সেট করুন।
৫..নামাজ পরুন,মেডিটেশন করুন।
পয়েন্ট টু বি নোটেড--নিজেকে ভালোবাসুন।
ধন্যবাদ