সময় জার্নাল প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া অন্য আরোহী বহন না করতে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। সোমবার (২৮ জুন) রাতে ডিএমপির পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়।
ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়, লক্ষ্য করা যাচ্ছে, লকডাউনের মধ্যে মোটরসাইকেলে চালকের সঙ্গে পরিচিত ব্যক্তি রাইড শেয়ার করছেন। অথবা কেউ কেউ পেশাগত কারণেও রাইড শেয়ার করছেন। ফলে একই ব্যবহৃত হেলমেট বারবার বিভিন্ন মানুষ ব্যবহার করছেন। এতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে।
এ অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জরুরি প্রয়োজনে রাজধানীতে চালক ব্যতীত অন্য আরোহী নিয়ে মোটরসাইকেলে চলাচলে নিরুৎসাহিত করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে রিকশায় যাতায়াতের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আজ সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে সীমিত পরিসরে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। লকডাউন চলবে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। রোববার (২৭ জুন) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে সাত দিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরু হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।
রোববার (২৭ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধ ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় কিছু শর্তাবলী সংযুক্ত করে ২৮ জুন সকাল ৬টা থেকে থেকে ১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।
নতুন যুক্ত হওয়া শর্তাবলী:
১. সারাদেশে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে নিয়মিত টহলের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে।
৩. খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (শুধুমাত্র অনলাইন/টেক ওয়ে) করতে পারবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা-নেওয়া করতে হবে।
৫. জনসাধারণকে মাস্ক পরার জন্য আরও প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এর আগে, ২৪ জুন কোভিড-১৯ কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’র সুপারিশ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশে কোভিড-১৯ রোগের ভারতীয় ডেল্টা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে। ইতোমধ্যে এর প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এ প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
সময় জার্নাল/এমআই