মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরে হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। প্রচন্ড শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশুসহ অন্যান্য পশুপাখির অবস্থা কাহিল হয়ে পড়েছে। গত দুই থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াসে নেমে এসেছে।
শীতের পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে রাস্তাঘাট। মধ্যরাত থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাস্তাঘাট কুয়াশায় ঢাকা থাকে। ফলে দিনের বেলায়ও যানবাহনগুলোকে হেড লাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে।
প্রচন্ড শীতে লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শীতে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো। এসব মানুষ কাজকর্ম না পেয়ে অতিকষ্টে জীবন যাপন করছেন।
এদিকে প্রচন্ড শীতে শিশু ও বয়স্ক মানুষসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। ফলে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এদিকে প্রচন্ড শীতে দিনাজপুর শহরের কাচারি বাজারসহ অন্যান্য স্থানে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। এতে বেচাবিক্রিও ভাল বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।
শহরেরর কাচারি বাজারের পুরাতন গরম কাপড় বিক্রেতা মইনুল হোসেন জানান, গত কয়েক দিন বেচাবিক্রি কম ছিল। কিন্তু গত দুই দিন বিক্রি ভাল হয়েছে। এই শীত আরো দুই চার দিন থাকলে বিক্রি ভাল হবে।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ তোফাজ্জল হোসেন
জানান, শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি ২০২৫) সকাল সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি আরো জানান, বায়ুমন্ডলের উপরিভাগে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যাধিক হারে থাকায় দিনের বেলা সূর্যের দেখা মিলছে না বা সূর্যের আলোর কাঙ্ক্ষিত তাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে শনিবার ২৫ জানুয়ারি থেকে জলীয় বাষ্পের আধিক্য কিছুটা কমতে পারে এবং দিনের অবস্থার ক্রমান্বয়ে ধীরে ধীরে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া আগামী দু থেকে তিন দিন রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে আরো কিছুটা হ্রাস পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এমআই