মাহবুবুল হক খান, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দেশের প্রেক্ষাপটকে কাজে লাগিয়ে অজ্ঞাত একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অজানা কারণে কোন এক অসৎ উদ্দেশ্যে একের পর এক মিথ্যা মামলা করছে। এরই মধ্যে আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করা হয়েছে। যে ঘটনাগুলোর সঙ্গে আমার বা আমার পরিবারের কারোও সম্পর্ক নেই। যারা মামলা করেছে তাদেরও আমি চিনিনা। এমন কি মামলাগুলোতে যাদেরকে আসামী করা হচ্ছে তাদের সঙ্গেও আমার কোন সম্পর্ক নেই। কি কারণে এই ভৌতিক মামলাগুলো আমার বিরুদ্ধে করা হচ্ছে তাও জানতে পারছিনা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৫) বেলা ১২টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দিনাজপুর পৌর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকার শাকিল আহম্মেদের স্ত্রী লুৎফর নাহার বর্ণি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে দিনাজপুর সদর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে শহরের ছোট গুড়গলা এলাকার মোঃ রনি নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছেন। মামলা নং ৩২। গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কোতয়ালি থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলায় ৫৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যার মধ্যে আমার নাম দেয়া হয়েছে ৩১ নাম্বারে। আমার ও আমার স্বামীর নাম ঠিক থাকলেও ঠিকানা দেয়া হয়েছে মাতা সাগর। অথচ আমার বাড়ী শহরের বাহাদুর বাজারে।
একই ভাবে একই কোর্টে শহরের ঈদগাহবস্তি এলাকার মৃত মমতাজুর রহমানের স্ত্রী মোছাঃ মাহবুবা আকতার আরেকটি মামলা করেছেন। যার মামলা নং সিআর-২৬। এই মামলাটি কোতয়ালী থানায় গত ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে রেকর্ড করেছে। তাকেও আমি চিনি না। এই মামলায় ৩৩ নাম্বারে আমার নাম দেয়া হয়েছে। মামলাগুলো পুলিশ তদন্ত ছাড়াই রেকর্ড করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, আমি একজন নারী। আমি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও জড়িত নই। তবে আমার আত্মীয় স্বজনরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃত্ত। আমার মামা মরহুম মুকুর চৌধুরি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আমার আত্মীয় স্বজন যদি বিএনপি করার কারণে অপরাধি হয়ে থাকে তাহলে আমি অপরাধি। যেহেতু আমি কোন রাজনীতি করিনা, তাহলে আমার বিরুদ্ধে বিগত সরকারের লোকজনের সঙ্গে জড়িয়ে কেন মামলা হবে এই প্রশ্নের উত্তর খুজে পাচ্ছিনা। এরই মধ্যে আমার বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় যে ঘটনাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে, সে গুলোর সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি এই ভৌতিক মামলাগুলো থেকে পরিত্রাণ চাই।
এমআই