মোঃ ইমরান মাহমুদ, জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরের মাদারগঞ্জে বিএনপির প্রভাব খাটিয়ে ফসলি জমির টপ সয়েল (জমির উপরিভাগের মাটি) কাটার অভিযোগ উঠেছে। এতে জমির উর্বরতা কমার পাশাপাশি ফসল উৎপাদন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয় কৃষক ও কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না ভুক্তভোগীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়নের সুখনগরী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই-তিন ফসলি জমি থেকে স্কেভেটর (ভেকু) দিয়ে টপ সয়েল কেটে নিয়ে যাচ্ছে মাটি খেকুরা।
এ নিয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক, মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিস্ট্যান্টের কাছে অভিযোগ দিয়েছে মোঃ রাশেদুল ইসলাম নামে এক কৃষক। তবে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
অভিযুক্ত হলেন, সাবল মিয়া (২৫), মোঃ মারুফ মিয়া (৩০), চাঁন মিয়া (৬০), খাজা মিয়া (৫০), আলামিন (৩০), বাবু, জাহিদুল ইসলাম গং জোরপূর্বক মাটি উত্তোলন করে আসছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত মাদারগঞ্জ উপজেলার সুখনগরী মৌজার ৪ একর ২২ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে রাশেদুল ইসলামের লোকজন। এ জমিতে তারা বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এ জমি নিয়ে আদালতেও মামলা চলমান রয়েছে।
অভিযোগকারী রাশেদুল ইসলাম বলেন, বালিজুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির শেল্টারে তারা এই কাজটি করে যাচ্ছে। আমরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।
অভিযোগের ব্যাপারে বালিজুড়ী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঞ্জরুল ইসলাম মুছা বলেন, তাদের জমি নিয়ে থানা, আর্মি অফিস, ডিবি অফিসে সালিশি বৈঠক হয়েছে। সেখানে আমার কি জমি আছে? সেখানে আমি কি ছিলাম? অভিযোগের ব্যাপারে আমি কিছু জানি না।
অভিযোগের বিষয়ে সাবল মিয়া বলেন, আমরা জমি কিনে নিয়েছি। তাদের কোনো কাগজপত্র নাই। আমরা জমিতে কিছু করতে গেলেই তারা বিভিন্ন সময় হয়রানি করে।
মাদারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, এটা তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। কোর্টে মামলাও রয়েছে। কোর্ট থেকে কোনো ওর্ডার আসলে আমরা সে অনুযায়ী কাজ করবো।
মাদারগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাদির শাহ বলেন, তারা আমার কাছে আসছিলেন আমি এসিস্ট্যান্ট কে বলেছি আগামীকালকেই একটা ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমআই