নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটকের পর যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, তদন্তে যারা দোষী প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইএসপিআর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৩১ জানুয়ারি বিকাল তিনটায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে আদর্শ উপজেলা থেকে আটককৃত মো. তৌহিদুর রহমান (৪০) একই দিন রাত সাড়ে ১২টায় কুমিল্লা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনাটি তদন্তে যথাযথ প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে, উক্ত সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়াও মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য একটি উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যৌথবাহিনী তুলে নেওয়ার পরদিন যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় বিচার দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ বিচার দাবি করেন। মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম হত্যার বিচার চাই!’
এর আগে যুবদল নেতা তৌহিদুলের মৃত্যুর ঘটনায় দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজেও বিচার দাবি করেছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার রাতে এক পোস্টে এই ঘটনায় জড়িত সেনা সদস্যদের বিচার দাবি করা হয়।
শুক্রবার রাতে বিএনপির ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে বলা হয়, ‘এই নৃশংস বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত সেনাবাহিনীর সকল সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, তৌহিদুল চট্টগ্রাম বন্দরে একটি শিপিং এজেন্টে চাকরি করতেন। গত রবিবার তার বাবা মোখলেছুর রহমানের মৃত্যুর খবরে তিনি বাড়ি আসেন। আজ বাবার কুলখানি হওয়ার কথা ছিল। তৌহিদুলের মা প্রায় ২০ বছর আগে মারা গেছেন। সংসারে তার স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান রয়েছে।
এমআই