জাকারিয়া শেখ, ফুলবাড়ি (কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় আইন লঙ্ঘনের দায়ে তিনটি ইটভাটার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তর কুড়িগ্রাম ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) লঙ্ঘনের অভিযোগে তিনটি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় দেখা যায়, উল্লিখিত তিনটি ইটভাটা পরিবেশগত ছাড়পত্র ও জেলা প্রশাসকের লাইসেন্স ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছিল। বাংলাদেশে ইটভাটা পরিচালনার জন্য নির্দিষ্ট কিছু শর্ত মানা বাধ্যতামূলক। তবে মেসার্স এম বি এম ব্রিকস (সোনাইর খামার), মেসার্স ডিএ ব্রিকস (নিলুরখামার ব্যাপারীপাড়া), এবং এস এন ব্রিকস (আলেপের তেপতি) এই নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। ফলে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং ভাটার আগুন নিভিয়ে দিয়ে কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অভিযানে বিচারিক দায়িত্ব পালন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহমুদুল হাসান। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা, পুলিশ বাহিনী এবং প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বাংলাদেশের ইটভাটা শিল্প পরিবেশের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিত ও অবৈধ ইটভাটা বায়ু দূষণ, কৃষিজমির ক্ষতি এবং বনাঞ্চল ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে সরকার ইটভাটা স্থাপনের জন্য কঠোর নিয়মাবলি প্রণয়ন করেছে। কিন্তু অনেক ভাটা মালিক এসব নিয়ম উপেক্ষা করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এ ধরনের অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
কুড়িগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জানান,"পরিবেশ সুরক্ষা এবং বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।"
এমআই